Home সর্বশেষ ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় প্রথম হলো মালদ্বীপে শার্কের আক্রমণের দৃশ্য

ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় প্রথম হলো মালদ্বীপে শার্কের আক্রমণের দৃশ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
৯১ views

সমুদ্রের গভীরে রয়েছে প্রকৃতির অসীম শক্তি ও সৌন্দর্য, যেখানে প্রতিটি প্রাণী জীবনের জন্য সংগ্রাম করে। এই অজানা জগতের এক অবিস্মরণীয় দৃশ্য উঠে এসেছে ২০২৪ সালের রয়্যাল সোসাইটি পাবলিশিং ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায়। যেখানে মালদ্বীপের সমুদ্রের অগভীর পানিতে শিকারী শার্ক এবং তাদের শিকারের মধ্যে চলা এক অপরিসীম সংগ্রামের ছবি ধারণ করা হয়েছে। সিলভারসাইড মাছের দল যখন শার্কের আক্রমণে বিভক্ত হতে শুরু করে, তখন প্রকৃতির এই নিষ্ঠুর কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পর্কের এক অসাধারণ চিত্র ফুটে ওঠে। এই চমৎকার ছবিটি ২০২৪ সালের রয়্যাল সোসাইটি পাবলিশিং ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার জিতেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘The hunt from above’।

ছবিটি তুলেছেন ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল বিহেভিয়ারের পোস্টডক্টোরাল গবেষক অ্যানজেলা আলবি। রয়্যাল সোসাইটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ছবিটি সিলভারসাইড মাছ এবং চারটি শার্কের আক্রমণের দৃশ্য ধারণ করেছে।

অ্যালবি বলেন, সকাল অথবা সন্ধ্যা হওয়ার কিছু আগে, মালদ্বীপের সমুদ্রের অগভীর এলাকায় পানির স্তর এতটাই পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ হয়ে যায় যে, ওই মুহূর্তগুলোতে আমরা রিফ শার্ক ও তাদের শিকারের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারি।

রয়্যাল সোসাইটির বিচারক হিউ তুরভি মন্তব্য করেন, ফটো টিতে  প্রাকৃতিক অসাধারণ এক সম্পর্ক ফুটে উঠেছে, যেখানে মাছের দল একত্রে সিংক্রোনাইজড হয়ে চলে, তারপর শার্কগুলো এলে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এই প্রতিযোগিতায় আরও পাঁচটি বিভাগে নির্বাচিত ছবি পুরস্কৃত হয়েছে। আকাশবিজ্ঞান বিভাগে প্রথম পুরস্কার পান ইমরান সুলতান, যিনি কাসিওপিয়া নক্ষত্রমণ্ডলির দুটি নেবুলার জটিল ছবি ধারণ করেছেন, যা পৃথিবী থেকে ৭,০০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। পৃথিবী বিজ্ঞান ও জলবায়ু বিষয়ক বিভাগে প্রথম পুরস্কার পান ডেভিড গার্সিয়া, যিনি গ্রিনল্যান্ডের একটি সুপ্রাগ্লেসিয়াল গলে যাওয়া হ্রদের ছবি আইফোনে ধারণ করেন।

মাইক্রোইমেজিং বিভাগে প্রথম পুরস্কার পান হোসে ম্যানুয়েল মার্টিনেজ লোপেজ, যিনি একটি শিলাবন্দি স্করপিয়নের চোখের ক্লোজ-আপ ছবি তোলেন। পরিবেশবিজ্ঞান ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ বিভাগে প্রথম পুরস্কার পান পিটার হান্ডসন, যিনি একটি সেক্রেটারি বার্ডের ছবি তুলেন, যা লকাস্ট খাচ্ছিল। এটি প্রধানত আফ্রিকার বিস্তীর্ণ এলাকায় পাওয়া যায়। এই পাখিটি বিশেষভাবে পরিচিত তার দীর্ঘ ও শক্তিশালী পা এবং শিকার ধরার কৌশলের জন্য। এই পাখি সাধারণত মাটিতে বাস করে এবং প্রধানত অন্যান্য ছোট প্রাণী, যেমন ইঁদুর, পোকামাকড়, সাপ ইত্যাদি শিকার করে। এটি শিকার ধরতে তার শক্তিশালী পা ব্যবহার করে, বিশেষ করে সাপ মারতে এটি খুব দক্ষ।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ