প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেই চমক দিয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। কারণ সিনেমাটির নাম ‘৮৪০’। এর নির্মাতা বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। দীর্ঘদিনের নির্মাণের বিরতির পর ফারুকীর ফিরে আসা ও তিশার নতুন রূপ মিডিয়ার জন্য চমকই বটে। এই নিয়ে ছোট এক আলাপে অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ‘হ্যালো বাংলাদেশ’র সঙ্গে নিজের অনুভূতি জানান তিশা।
‘৮৪০’ সিনেমা প্রসঙ্গে নির্মাতা ফারুকীর বরাত দিয়ে অভিনেত্রী তিশা জানান, এটি একটি ‘পলিটিক্যাল স্যাটায়ার’ যা বিগত সরকারের এক ধরনের রূপও বলা যায়। নির্মাতা ফারুকী বারবার এ কথা বলেছেন। এমনকী সিনেমার প্রথম বিশেষ প্রদর্শনীর দিনেও তিনি একই কথা বলেছেন।
তিশা হ্যালো বাংলাদেশকে আরও জানান, সিনেমাটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। যার একটি হলো একাধারে তিনটি টিভি চ্যানেলে প্রদর্শন। ইতিমধ্যে যা সিরিজ আকারে এর প্রচার শুরু হয়ে গেছে। ভিন্ন সময়ে চ্যানেল আই, আরটিভি ও দীপ্ত টিভিতে সিনেমাটি সিরিজ আকারে পর্ব হিসেবে প্রচারিত হচ্ছে।
তিশা বলেন, এর আগে কখনোই এমন কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, যে উদ্যোগে তিনটি চ্যানেল একই সাথে কোন কন্টেন্ট প্রচার করবে। তিশা চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দিয়ে তার স্বপ্নপূরণের সাথী হওয়াতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সিনেমাটির প্রচারণা মুক্তির আগে সেভাবে হয়নি বলে অনেকের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তিশা। এরপরেও দর্শকরা হলে যাচ্ছেন বলে জানান এই নব্য প্রযোজক। এজন্য তিনি ধন্যবাদ দিতে চান সাংবাদিকদের।
তিনি বলেন, এই সিনেমার যতটা প্রচারণা সিনেমা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা করেছেন, তার থেকে বেশি করেছেন সাংবাদিকরা। তার ডাকে সাংবাদিকরা সবসময় সাড়া দিয়েছেন। গণমাধ্যম সবসময় ফারুকীর যেকোনও কাজের পাশে থেকে তার নিত্যনতুন আইডিয়াকে সফল করেছে।
তবে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনী একই সাথে হলে ও টিভি চ্যানেলে সিনেমা চালালে অনেক সময় সিনেমার পরিবেশক ও হল মালিকরা ব্যবসা নিয়ে দৈন্যদশায় ক্ষোভের জন্ম দেয় এবার সেই ধরনের পুনরাবৃত্তি হবে কিনা এছাড়া ব্যবসার ওপর কি ধরনের প্রভাব পড়বে ‘হ্যালো বাংলাদেশ’র এমন প্রশ্নে একটু ভিন্নভাবেই জবাব দেন তিশা।
এই প্রসঙ্গে তিশা পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, আমরা কি সব কাজ ব্যবসার জন্য করি? মাঝে মাঝে এমন কাজ করতে হয় যায় সমাজের জন্য উত্তম। আমাদের দায়বদ্ধতা থেকে শুধু ব্যবসার কথা না ভেবে আমরা অনেক কাজই করে থাকি। ৮৪০ সিনেমাটি আসলে তেমনই।
যে পরিস্থিতির মাঝ দিয়ে ২০২৪ সালে আমরা নতুন অধ্যায় পেয়েছি, বিগত কয়েক বছরের অরাজকতা দেখেছি, সেসব ফুটিয়ে তোলার চেষ্টায় এই সিনেমাটি বানানো হয়েছে। আমাদের ইচ্ছা জনসচেতনতা তৈরি হোক। সবাই সিনেমাটি দেখুক। ব্যবসা নিয়ে আপাতত ভাবছি না বলে যোগ করেন তিশা।
সব মিলিয়ে নতুন প্রযোজক হিসেবে চাপ বা কাজের ‘উত্তাপ’ বেশি অনুভব করছেন কিনা হ্যালো বাংলাদেশ’র এই প্রশ্নে তিশা হেসে বলেন, মোটেই না। বরং আমার আশেপাশে এমন সব দারুণ মানুষ আছে যারা আমার অভিনয় জীবনেও সহায়তা করেছেন, আবার এখন যখন প্রযোজক হিসেবে নতুন পরিচয়ে এলাম, তখন সব মেধাবী মানুষ পাশে দাঁড়ালেন। যার প্রমাণ তিন চ্যানেলে একই সাথে সিনেমার সিরিজ হিসেবে প্রচার। আমি আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ।
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি থেকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দীপ্ত টিভি, চ্যানেল আই ও আরটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে ৮৪০ সিনেমার বর্ধিত রূপ। যেখানে এমন অনেক কিছুই আছে যা সিনেমায় নেই। ছোট পর্দায় সিরিজ আকারে এই বর্ধিত রূপ যোগ করা হয়েছে। একই সাথে নির্দিষ্ট হলে চলছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত ছবি ‘৮৪০’।