জেমস বন্ড সিরিজের ০০৭ সিনেমা তার ব্যক্তিগত জীবনে কেমন প্রভাব ফেলেছিল তা ব্যাখ্যা করেছেন হলিউড অভিনেতা ডেনিয়েল ক্রেগ। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) লন্ডনের ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের (বিএফআই) এক লাইভ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সে সম্পর্কে জানান তিনি।
ডেনিয়েল ক্রেগ বলেন, জেমস বন্ড ফ্রাঞ্চাইজির কাজ শেষ করার পরও ওই সিনেমার চরিত্র থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আমার সময় লাগে ৬ মাস। এই সিনেমা আমাকে বড় তারকা হিসেবে খ্যাতি এনে দিয়েছিল। এরপর অনেক সিনেমাতেই দর্শকরা আমাকে দেখতে চেয়েছে।
৫৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা আরও বলেন, এই সিনেমা আমাকে জনপ্রিয়তার চূড়ান্ত শিখরে নিয়ে গেছে। আমি যেখানেই যাই সবাই আমার প্রশংসা করে। এমনকি আমার পরিবারের সদস্যরাও আমার মতো সমানভাবে এই সিনেমার জনপ্রিয়তা উপভোগ করে।
সম্প্রতি সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, জেমস বন্ড সিরিজের প্রতিটি সিনেমার শুটিংয়ের পরেই নিজেকে নিজের মতো করে রাখা যায়নি। রাস্তাঘাট এমনকি বারে পানীয় পান করতে গিয়েও খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।
স্ত্রী রাচেল উয়েসের সাথে হলিউড মেগাস্টার ডেনিয়েল ক্রেগ, ছবি: পিপল ডটকম
১৯৬৮ সালে উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডে জন্ম ড্যানিয়েল ক্রেগের। তার শৈশব কাটে লিভারপুলে। অল্প বয়সেই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ক্রেগ। লন্ডনে নাটকের একটি স্কুলে ভর্তি হন। এরপর টিভি, আর্ট হাউস সিনেমা ও মঞ্চে কাজ করেন।
২০০১ সালে ‘লারা ক্রফট: টুম রাইডার সিনেমা দিয়ে পরিচিতি পান। এরপর কয়েকটি ছবিতে কাজ করেন। আর ২০০৬ সালে ‘ক্যাসিনো রয়্যাল‘ সিনেমাতে জেমস বন্ড হিসেবে অভিষেক, যার ইতি ঘটে ২৫তম ছবি ‘নো টাইম টু ডাই’র মাধ্যমে। ২০০৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজিতে অভিনয় করেন তিনি। বন্ডের বাইরে ক্রেগের ঝুড়িতে আছে ‘নাইভস আউট’, ‘মিউনিখ’, ‘দ্য ইনভেশন’, ‘দ্য গার্ল উইথ দ্য ড্রাগন ট্যাটু।
২০১১ সালে রাচেল উয়েসের সাথে ঘর বাঁধেন ডেনিয়েল ক্রেগ। তাদের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় কন্যা গ্রেস।
তথ্যসূত্র: জিও নিউজ ও পিপল ডটকম
