রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ১ দশমিক ৭ শতাংশ কমাল বিশ্বব্যাংক। চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) প্রবৃদ্ধির হবে ৪ শতাংশ। সংস্থাটি এর আগে গত এপ্রিলে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল।
১০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেটে বলা হয়েছে, ‘উল্লেখযোগ্য অনিশ্চয়তার’ কারণে বিনিয়োগ ও শিল্পে প্রবৃদ্ধি দুর্বল এবং সাম্প্রতিক বন্যার ফলে কৃষিতে মাঝারি মানের প্রবৃদ্ধি হবে ।
২০১৯-২০ অর্থবছরের পর এটি বিশ্বব্যাংকের সংশোধিত প্রক্ষেপণের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধির হার। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার চলতি অর্থবছরে ছয় দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস তার তুলনায় অনেক কম।
চলতি অর্থবছরের পূর্বাভাস কমানোর পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলনও কমিয়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়েছে। গত অর্থবছরের জন্য সরকারের সাময়িক প্রাক্কলন ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।
প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান না থাকা এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আভাসকে ঘিরে যে অনিশ্চয়তা রয়েছে, তাদের পূর্বাভাস তাকেই প্রতিফলিত করছে। স্বল্প মেয়াদে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগ ও শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়বে না। অন্যদিকে বন্যার কারণে কৃষি উৎপাদন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তবে মধ্য থেকে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছে বিশ্বব্যাংক। সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তার ফলে প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে মনে করে সংস্থাটি। এ ক্ষেত্রে আর্থিক খাতে সংস্কার, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব বাড়ানোর পদক্ষেপ, ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি ও বাণিজ্য চাঙা হওয়ার বিষয়গুলো বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক।
গত জুলাই ও আগস্টে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস পাঁচ দশমিক এক শতাংশে নামিয়ে আনার দুই সপ্তাহ পর বিশ্বব্যাংকের এই সংশোধনী এলো।