Home বাণিজ্য করোনাকালের অবস্থানে শেয়ারবাজার

করোনাকালের অবস্থানে শেয়ারবাজার

৩৯ views

টানা দরপতনে তলানিতে নেমেছে শেয়ারবাজার। করোনা মহামারির সময় শেয়ারবাজারে যেমন ভয়াবহ দর পতন দেখা গিয়েছিল, এখন আবার সেই ধরনের ভয়াবহ দরপতন দেখা যাচ্ছে। 

অব্যাহত পতনের মধ্যে পড়ে মঙ্গলবার (২৭ মে) লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪১ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে ২০২০ সালের ১২ আগস্টের পর সূচকটি এখন সর্বনিম্ন অবস্থায় রয়েছে। অর্থাৎ ৪ বছর সাড়ে ৯ মাসের মধ্যে ডিএসই’র প্রধান মূল্য সূচক এখন সর্বনিম্ন অবস্থানে।

চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো। অব্যাহত দরপতনের মধ্যে পড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে। অন্যভাবে বলা যায় করোনা মহামারির আমলে ফিরে গেছে দেশের শেয়ারবাজার।

২০১৯ সালের শেষদিকে মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। করোনার প্রভাবে জনজীবনের পাশাপাশি অর্থনীতিতেও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয় ২০২০ সালের মার্চে। এরপর দেশের শেয়ারবাজারে ভয়াবহ দরপতন শুরু হয়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে টানা ৬৬ দিন শেয়ারবাজার বন্ধ রাখার ঘটনা ঘটে।

পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ হ্যালো বাংলাদেশকে বলেন, লোকসানে থাকার কারণে শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না সিংহভাগ বিনিয়োগকারী। ফলে তারা প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। যে কারণে বাজারে লেনদেনও তলানিতে নেমেছে।

তিনি বলেন, চাকচিক্যময় বাজার উঠছে, সূচক বাড়ছে- এমন অবস্থা এখন না থাকলেও সংস্কারগুলো যথাযথভাবে করা হলে শেয়ারবাজারে সত্যিকারের পরিবর্তন আসবে। 

মঙ্গলবার দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলে ডিএসইতে ৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩৭টির। আর ৭২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪৯টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১২৫টির দাম কমেছে এবং ৩৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিন বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৭২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৮২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে টানা ১২ কার্যদিবস ডিএসইতে ৩০০ কোটি টাকার কম লেনদেন হলো।

ডিএসইতে এদিন টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেনে হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ১১ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৬৭ লাখ টাকার। ৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি। ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আরো রয়েছে- বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, আইএফআইসি ব্যাংক, শাইনপুকুর সিরামিক, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল, মিডল্যান্ড ব্যাংক, নাহি অ্যালুমেনিয়াম এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো।

 

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ