Home বাণিজ্য বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত

ইকবাল হোসেন
৪৯ views

দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম নিয়ামক বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। গত মার্চে তা বেড়ে ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশে উঠেছে। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ, যা ২১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারির পরে আর কখনও এতটা কম হয়নি বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত ‘উইকলি সিলেক্টেড ইকোনমিক ইন্ডিকেটরস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।  এতে দেখা যায়, মার্চ মাস শেষে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ১৯ হাজার ৫১২ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের মার্চ শেষে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। এ হিসাবেই মার্চ শেষে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

প্রতিবেদনের তথ্য মতে, গত জানুয়ারিতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ছিল ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। 

গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতিতে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা আছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। সে হিসাবে মার্চে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ২৩ শতাংশীয় পয়েন্ট কম হয়েছে প্রবৃদ্ধি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, ২০২২ সালের আগস্টে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক শূন্য সাত শতাংশে উঠেছিল। এরপর থেকে কমছেই।

২০২৩ সালের মে মাসে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১১ দশমিক ১০ শতাংশ। তার আগের মাস এপ্রিলে ছিল ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। মার্চে ছিল ১২ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ। জানুয়ারিতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। নভেম্বরে ছিল ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। অক্টোবর, সেপ্টেম্বর ও আগস্টে ছিল যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ, ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও ১৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান হ্যালো বাংলাদেশকে বলেন, মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে সঙ্কোচনমুখী মুদ্রানীতি গ্রহণ করছে। ফলে সব ধরনের ঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধিও কমছিল। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনেরও একটা প্রভাব পড়েছিল।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিম্মমুখী হয়েছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আগামী মাসগুলোতে বেসরকারি ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি বাড়লে বিনিয়োগেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ