Home বাণিজ্য বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার ছাড়ার প্রবণতা অব্যাহত

বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার ছাড়ার প্রবণতা অব্যাহত

৫৪ views

২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার ছাড়ার প্রবণতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ এপ্রিল মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব কমেছে ১০০টির বেশি। আর চলতি বছরের চার মাসে কমেছে ৩০০টির বেশি।

বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার ছাড়ার এই প্রবণতা শুরু হয় ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে। এরপর গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিনিয়ত তাদের বিও হিসাবের সংখ্যা কমছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশি ও প্রবাসীদের বিও হিসাব কমেছে ৯ হাজারের বেশি।

বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজার ছাড়লেও স্থানীয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়ছে। চলতি বছরে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার। আর হাসিনা সরকার পতনের পর দেশ চালানোর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে বেড়েছে ২০ হাজারের বেশি।

বিও হলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্রোকারেজ হাউস অথবা মার্চেন্ট ব্যাংকে একজন বিনিয়োগকারীর খোলা হিসাব। এই বিও হিসাবের মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে লেনদেন করেন। বিও হিসাব ছাড়া শেয়ারবাজারে লেনদেন করা সম্ভব না। বিও হিসাবের তথ্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)।

এই সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল শেষে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ৩৯৬টি। যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮টি। এ হিসাবে হাসিনা সরকার পতনের পর শেয়ারবাজারে বিও হিসাব বেড়েছে ২১ হাজার ৩৩৮টি। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিও হিসাবে বেড়েছে ২০ হাজার ৫০১টি। অন্তর্বর্তী সরকার যেদিন দেশ চালানোর দায়িত্ব নেয়, সেদিন বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮৯৫টি। আর সর্বশেষ এপ্রিল মাসে বেড়েছে ১ হাজার ২৫২টি।

সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব আছে ৪৬ হাজার ৩৬০টি। ২০২৪ সাল শেষে বিদেশি ও প্রবাসীদের বিও হিসাব ছিল ৪৬ হাজার ৬৯১টি। অর্থাৎ চলতি বছরে বিদেশি ও প্রবাসীদের বিও হিসাব কমেছে ৩৩১টি। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই কমেছে ১৩৪টি।

অপরদিকে হাসিনা সরকার পতনের সময় বিদেশি ও প্রবাসীদের বিও হিসাব ছিল ৪৭ হাজার ৮৪টি। আর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দিন ছিল ৪৭ হাজার ৮১টি। অর্থাৎ বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে কমেছে ৭২১টি।

২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব ছিল ৫৫ হাজার ৫১২টি। এ হিসাবে ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবরের পর দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব কমেছে ৯ হাজার ১৫২টি।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ