বেক্সিমকোর ১৪ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধ করবে সরকার। আগামী ৯ মার্চ থেকে এসব শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের এই অর্থ দেওয়া শুরু হবে। গত বুধবার বেক্সিমকোর এই ১৪ প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, বেক্সিমকোর এসব প্রতিষ্ঠানে ৩১ হাজার ৬৬৯ জন শ্রমিক এবং এক হাজার ৫৬৫ জন কর্মকর্তা কাজ করতেন।
সাখাওয়াত হোসেন জানান, এই অর্থের মধ্যে ৩২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা দেবে অর্থ বিভাগ এবং বেক্সিমকো গ্রুপকে ঋণ হিসেবে ২০০ কোটি টাকা দেবে শ্রম মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বেক্সিমকো শিল্প পার্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এই ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটির নেতৃত্ব দেবেন। এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতিনিধিসহ বেক্সিমকো লিমিটেডের রিসিভার। কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে কাজ করবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।