ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর বিবরণী বা আয়কর রিটার্ন জমার সময় আর মাত্র ১০ দিন বাকি আছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি এই সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমার সব কাজ শেষ করতে হবে। এ সময় পর্যন্ত করদাতারা অনলাইনে ও সশরীরে কোনো জরিমানা ছাড়াই আয় ও সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়া যাবে।
গত ২৯ ডিসেম্বর রিটার্ন জমার সময় আরও এক দফা বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত ১৭ নভেম্বর আরেক আদেশে ৩০ নভেম্বর থেকে সময় বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছিল। এছাড়া আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানির রিটার্ন দেওয়া যাবে। সাধারণত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানি করদাতারা রিটার্ন দিতে পারে।
জানা গেছে, জুলাই-আগস্টে আন্দোলন, ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন কারণে সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবছরই নির্দিষ্ট সময়ের পর আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর অভ্যাস থেকে বের হতে পারছে না এনবিআর। এবারও ব্যতিক্রম নয়।
এনবিআর করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে উত্সাহ দিচ্ছে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কর অঞ্চলের অধীনে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছিল এনবিআর। এরপর ব্যাংকার ও মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদেরও অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
গত ২২ অক্টোবর এনবিআরের এক আদেশে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার সরকারি কর্মকর্তা, তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানির কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তাদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো হলো ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি। নতুন এ আদেশে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক হওয়ায় বহু ব্যাংকার বিপাকে পড়েছেন।
