Home বাণিজ্য শুল্কের চাপে বেড়েছে আমদানিকৃত ফলের দাম

শুল্কের চাপে বেড়েছে আমদানিকৃত ফলের দাম

ইকবাল হোসেন
৫৫ views

গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুকনো ও টাটকা ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করেছে। আপেল, আঙুর ও তরমুজের মতো কিছু টাটকা ফল ও জুসের ওপর শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের নির্দেশনা জারি সঙ্গে সঙ্গে বাজারে দাম বৃদ্ধি কার্যকর করে ফেলেছেন ব্যবসায়ীরা। এক সপ্তাহের ব্যাবধানে সব ধরনের ফলের দাম কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি ১৫০ টাকা বেড়েছে লাল আঙুরের দাম। এর পরেই কেজিতে ১০০ টাকা বেড়েছে আনারের দাম।

সাত দিনের ব্যবধানে আপেল, কমলা, আঙুর, বেদানা, নাশপাতির কার্টনপ্রতি বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। দাম বেড়ে প্রতি কেজি সাদা আঙুর বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়, যা কদিন আগেও বিক্রি হয়েছিল ৪০০ টাকায়। কেজিতে ১৫০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি লাল আঙুর বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়। কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি এ গ্রেডের আনার বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। আনারের মতো দাম বেড়ে প্রতি কেজি গালা আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, নাশপতি-মাল্টা ৩২০ থেকে ৩৩০ ও প্রতি কেজি আমদানিকৃত স্ট্রবেরি আপেল বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।

রাজধানীর রামপুরা বাজারে আসা এক ক্রেতা নাসরিন সুলতানা  হ্যালো বাংলাদেশকে বলেন, এক সপ্তাহ আগে মাঝারি আকারের কমলার কিনেছি প্রতি কেজি ২৬০ টাকা করে, যা এখন ২৯০ টাকা। ২৯০ টাকা কেজির আপেলের দামও বেড়ে হয়েছে ৩২০ টাকা।

তিনি আরও বলেন, ২ কেজি কমলা ও ২ কেজি আপেল কিনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দের কেজি করে নিতে হলো।

ফল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এর আগে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে আমদানি প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গিয়েছিল। সম্প্রতি সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে পাইকারি বিক্রি আরও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমেছে।

রামপুরা বাজারের দোকান মালিক মোহাম্মদ আবুল হোসেন  বলেন, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ফলের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে, কিছু ফলের দাম কেজিতে ২৫ টাকারও বেশি বেড়েছে।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আগে কালো আঙুর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় কিনতাম, এখন কিনি ৫৩০ টাকায়। ছোট ডালিম ৪৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮০ টাকা হয়েছে। ২৭০-২৮০ টাকার নাশপতি পাইকারি বাজারে ২৮৮ টাকা হয়ে গেছে।

এলসি খোলার তথ্য থেকে জানা যায়, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় জুলাই-নভেম্বরে বাংলাদেশে ফলের দাম বাড়ার কারণ ফল আমদানি সাড়ে ৮ শতাংশ কমে ১০৭ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে এলসির নিষ্পত্তির পরিমাণও কমেছে। আমদানি কমে গেলে বাজারে যোগান কম থাকবে। তাই চাহিদার তুলনায় যোগান কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক নিয়মেই ফলের দাম বাড়বে।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ