পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে পশুর হাটে ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বেড়েছে অন্যান্য জিনিসেরও। পশুকে খাওয়ানোর ঘাস, খড় থেকে শুরু করে খাটিয়া আর পাটির বাজারেও আসছে ক্রেতা। এতে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা ভালো বিক্রির আশা করছেন।

বিক্রি করা পাটি ক্রেতাকে ভাঁজ করে দিচ্ছেন বিক্রেতা, ছবি: হ্যালো বাংলাদেশ
কাওরান বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে পশুর খাদ্য, খাটিয়া ও পাটিসহ কোরবানির প্রয়োজনীয় জিনিস। স্থানভেদে এসব জিনিসের দামে খুব বেশি হেরফের নেই।
কোরবানির মাংস কাটার বিভিন্ন সাইজের খাটিয়ার দাম একেক রকম। ছোট সাইজের মূল্য ২৫০ টাকা, মাঝারি সাইজ ৩০০ টাকা আর বড় সাইজেরগুলো ৫০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে কারওয়ান বাজারে।

হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে বিক্রির জন্য আনা খড়, ছবি: হ্যালো বাংলাদেশ
একজন বিক্রেতা হ্যালো বাংলাদেশকে জানান, আমার এখানে সব খাটিয়া তেঁতুল গাছের। সাইজ অনুয়ায়ী এগুলোর দাম কম বেশি আছে। ছোটগুলো আড়াইশ আর বড়গুলোর দাম একটু বেশি। বিক্রি ভালো। আশা করছি সব খাটিয়া-ই বিক্রি করতে পারব।
দুটি খাটিয়া কেনার পর একজন ক্রেতা হ্যালো বাংলাদেশকে জানান, আগেই খাটিয়া নিয়ে গেলাম। পরে কেনার কথা মনে থাকে না। মাংস কাটার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। গতবার ভুলে কেনা হয়নি। তাই এবার আগেবাগে নিলাম।

পাটি ও কাঁঠাল পাতার স্তুপ, ছবি: হ্যালো বাংলাদেশ
কোরবানির পশুকে খাওয়ার জন্য কাঁঠাল পাতার প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা করে। এ ছাড়া খড় ও ঘাসের প্রতি আঁটি ক্রেতারা কিনছেন ৩০ টাকা করে। পাশাপাশি বিভিন্ন সাইজের পাটি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।
কারওয়ান বাজারে ইদ্রিস আলী নামে একজন বিক্রেতা হ্যালো বাংলাদেশকে জানান, ময়মনসিংহ ও গাজীপুর থেকে ঘাস এনেছি। ওখানে ঘাস কাটার জন্য শ্রমিকের খরচ দিতে হয়েছে। এরপর রয়েছে গাড়ি ভাড়া। ঈদের আগের দিন এই গুলো আবার বিক্রি করে শেষ করতে হবে। পরে আর চাহিদা থাকে না। তাই সীমিত লাভ রেখেই বিক্রি করছি।