ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া ৬৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। আজ সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগে সরকারের আইনগত কোনো বাধা থাকল না।

রায়ের খবর শুনে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের উচ্ছ্বাস
গত বছরের জুলাইয়ে আপিল বিভাগের রায়ে ৮৪ % কোটা পদ্ধতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় ৬৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাতিল করেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি চাকরির ৯৩ % মেধাভিত্তিক ও বাকি ৭% কোটা থেকে হবে মর্মে যে রায় দেওয়া হয়েছে, হাইকোর্ট সেই সব পদে প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে উত্তীর্ণ ৬৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৩১ প্রার্থীর করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত বছরের ২০ নভেম্বর থেকে ৬ হাজার ৫৩১ জন শিক্ষককে নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা থাকলেও তাদের চিঠি দেওয়া হয়নি।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের তৃতীয় ধাপে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়, যাতে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৬৫৩১ জন।
পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল আবেদন করে।