বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ কানাডায় একটি গরিলার মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় চলছে। দেশটির আলবার্টার ‘কেলগেরি জ্যু’তে আইয়ার নামের দুই বছর বয়সী ওই গরিলাটির মৃত্যু হয়। সিএনএন, এনবিসিসহ বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো গরিলাটির মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে। চিড়িয়াখানার একটি বড় অংশ সেন্ট জর্জ দ্বীপে অবস্থিত।
চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে মাথায় হাইড্রোলিক দরজার আঘাত পাওয়ার পর পশ্চিমাঞ্চলীয় নিম্নভূমির তরুণ এই গরিলাটির মৃত্যু হয়েছে। মানবিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
চিড়িয়াখানার পরিচালক কলিন বেয়ার্ড বলেন, এই ঘটনা আমাদের সবাইকে গভীরভাবে আঘাত করেছে। ছোট্ট এই জীবনে আইয়ার আমাদের সবাইকে অনেক আনন্দ দিয়েছে। সবাই তাকে মন থেকে মিস করছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

কানাডার আলবার্টার ক্যালগারি চিড়িয়াখানার প্রবেশদ্বার, ছবি: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস
তিনি জানান, আইয়ার নিহতের ঘটনায় জড়িত কর্মীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও প্রাণীদের আচরণগত প্রশিক্ষণসহ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান কলিন বেয়ার্ড।
কানাডায় প্রাকৃতিক কারণ ছাড়া কোনো প্রাণী মারা গেলে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। এমনকি প্রাণী সংরক্ষণ কর্মীরা আদালত পর্যন্ত যায়।
চিড়িয়াখানায় প্রাকৃতিক কারণ ছাড়া প্রাণীর মৃত্যু এবারই প্রথম নয়। ২০১৬ সালে চিড়িয়াখানার এক কর্মচারীর ‘অননুমোদিত’ প্যান্টে আটকে যাওয়ায় একটি ভোদড় মারা যায়।
২০১৩ সালে দুর্ঘটনাবশত লাঠি গিলে ফেললে একটি পেঙ্গুইন মারা যায়। এ ছাড়া ২০০৯ সালে একটি ক্যাপিবারা হাইড্রোলিক দরজায় পিষ্ট হয়ে মারা যায়। ওই সময়ও বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল।
কেলগেরি চিড়িয়াখানার একজন মুখপাত্র বলেন, প্রায় ১০০ প্রজাতির ৪ হাজারের বেশি প্রাণী সংরক্ষিত আছে এখানে। আমরা প্রাণীগুলোকে ভালবাসি ও যত্ন করি।
তথ্যসূত্র: সিএনএন ও ইয়াহু নিউজ