সকালের তাড়াহুড়োতে এমন কিছু চাই যা স্বাদের দিক দিয়ে অসাধারণ, কিন্তু সময় নেয় কম। এমন একটা নাম এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল— মায়াক এগ (Mayak Egg)। ঝটপট বানানো যায়, দেখতে লোভনীয়, আর খেতেও অপূর্ব। কিন্তু এই মায়াক এগ কী? কীভাবে এটা জনপ্রিয় হয়ে উঠল? আর কীভাবেই বা বানাবেন এই কোরিয়ান ডেলিকেসি? চলুন জেনে নিই মায়াক এগের গল্প।
মায়াক এগের পেছনের গল্প
‘Mayak’ শব্দটা কোরিয়ান, যার অর্থ— ‘ড্রাগ’ বা ‘নেশা’। ভয় পাবেন না! এখানে মায়াক শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে একেবারেই রূপক অর্থে— এই ডিশ এতটাই আসক্তিকর যে একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করে। তাই মজার ছলে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘Mayak Egg’ — নেশা ধরানো ডিম।
বলা হয়ে থাকে এই ডিশটির উৎপত্তি চীনে। জাপান, তাইওয়ানেও এর কাছাকাছি ধরনের সয়া সসে মেরিনেট করা ডিম পাওয়া যায়। বিশেষ সয়া সসের স্নিগ্ধ স্বাদে ভেজানো সেদ্ধ ডিম, উপরে তিল ছিটিয়ে, সঙ্গে গরম ভাত বা নুডলস— ব্যস, হয়ে গেল জিভে জল আনা কোরিয়ান খাবার!

ঘরোয়া কুকিং ইনফ্লুয়েন্সার থেকে শুরু করে নামজাদা শেফ পর্যন্ত সবাই মায়াক এগ তৈরি করছেন, ছবি: এশিয়ান ইন্সপায়ারেশনস
বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা
টিকটক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম— মায়াক এগ এখন সর্বত্র! ঘরোয়া কুকিং ইনফ্লুয়েন্সার থেকে শুরু করে নামজাদা শেফ পর্যন্ত সবাই এই আইটেমটি তৈরি করছেন। কারণ, এটি দেখতে যেমন সুন্দর, রেসিপিটাও তেমনি সহজ। বিশেষ করে অ্যানিমে ও কোরিয়ান ড্রামা-র ভক্তরা এই ডিশের প্রতি আরও বেশি আগ্রহী, কারণ তারা প্রায়ই এগুলোতে এমন খাবার দেখতে পান।
রেসিপি
উপকরণ:
- ডিম – ৪টি (সেদ্ধ, হাফ-বয়েল্ড বা মিডিয়াম-বয়েল্ড)
- সয়া সস – ১/৪ কাপ
- পানি – ১/৪ কাপ
- মধু বা চিনির সিরাপ – ১ টেবিল চামচ
- রসুন কুচি – ১ টেবিল চামচ
- স্প্রিং অনিয়ন কুচি – ২ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ কুচি (সবুজ ও লাল) – স্বাদ অনুযায়ী
- তিল (সাদা বা কালো) – ১ চা চামচ
- তেল – ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক, তিলের তেল হলে ভালো)
প্রণালী:
- ডিমগুলো মিডিয়াম-বয়েল করে ঠান্ডা করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। (প্রায় ৬ মিনিট সেদ্ধ করুন)
- একটি পাত্রে সয়া সস, পানি, মধু, রসুন, কাঁচা মরিচ, স্প্রিং অনিয়ন, তিল ও তেল একসাথে মিশিয়ে নিন।
- ডিমগুলো একটি বাটিতে রেখে উপর থেকে মিশ্রণটি ঢেলে দিন যেন পুরো ডিম ভিজে যায়।
- ঢেকে ফ্রিজে রাখুন কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা। সারারাত রাখলে আরও ভালো।
- গরম ভাত, রামেন বা নুডলসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।