Home বিশ্ব ফ্লোরিডায় ১৯৫ কিমি গতিতে আছড়ে পড়লো হারিকেন মিল্টন

ফ্লোরিডায় ১৯৫ কিমি গতিতে আছড়ে পড়লো হারিকেন মিল্টন

নিজস্ব প্রতিবেদক
১২৯ views

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পশ্চিম উপকূলে আছড়ে পড়েছে হারিকেন মিল্টন। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার। দেশটির ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার হালনাগাদ এ তথ্য জানায়।

রাডারের তথ্য বিশ্লেষণ করে ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার বলছে, মিল্টন ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলে সারাসোটা কাউন্টির সিয়েস্তা কি এলাকায় ভূ-ভাগে আছড়ে পড়েছে। হারিকেন মিল্টনের আঘাতে ফ্লোরিডায় বড় রকমের হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

হারিকেনের কারণে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ফ্লোরিডাজুড়ে ১১ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন রয়েছেন বলে বিবিসির খবরে জানা গেছে। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যানটিস বলেছেন, দানবীয় এই হারিকেনের কবল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাঁচাতে নিরাপদ এলাকায় কয়েক ডজন আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

হারিকেন হেলেনের বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই অঙ্গরাজ্যটি আবারও বড় ধরনের দুর্যোগের মুখে পড়ল। ওই হারিকেনে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, দক্ষিণ ক্যারোলাইনা, টেনেসি, ভার্জিনিয়া এবং উত্তর ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে অন্তত ২২৫ জন প্রাণ হারিয়েছিল।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হারিকেনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এবারের মৌসুমের জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে ১ জুন থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হারিকেনের মৌসুম। এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৯টি হারিকেন আঘাত হেনেছে।

হারিকেন মিল্টনের আঘাতে নির্মাণাধীন ভবনগুলো ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আংশিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। স্থানীয় প্রশাসনও জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় ভিত্তিক সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।

ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, হারিকেন মিল্টনের কারণেই ফ্লোরিডা এবং দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার অবধি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের জলাবদ্ধতা বিপজ্জনক হতে পারে এবং বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।

অন্যদিকে, সরকারি দফতরগুলোতে জরুরি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যাতে দ্রুতভাবে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো যায়। স্থানীয় পুলিশও অবরোধের ব্যবস্থা নিয়েছে যাতে সাধারণ মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে।

মানুষের নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষার জন্য জরুরি পরিষেবা টিমগুলো কাজ করছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে হাসপতালের জরুরি সেবা চালু রাখা হয়েছে। এছাড়াও, খাবার ও চিকিৎসা সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করে যাচ্ছে।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ