নানা ঘটনার মধ্যদিয়ে এবার কানাডার পর্বতঘেরা শহর কানানাসকিসে শেষ হয়েছে জি-৭ এর ৫১তম সম্মেলন। যেখানে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে সম্মেলন শেষ না করে দেশে ফেরেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর শুরুতে আমন্ত্রণ না পেলেও পরে বিশ্ব নেতাদের অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আয়োজক কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সভাপতিত্বে ৫১তম সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গঠনমূলক বৈঠক হয়। পাশাপাশি সম্মেলনে আলোচনার সূচিতে ছিল-আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-কোয়ান্টাম প্রযুক্তি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত, সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ, পারস্পারিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা, উন্নয়নশীল দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে যৌথ উদ্যোগসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
সম্মেলনে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যেখানে ১০ ঘণ্টার মধ্যে মোট ১২টি দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি। মঙ্গলবার (১৮ জুন) কানাডায় অনুষ্ঠিত হওয়া সম্মেলনের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে নড়বড়ে হয়ে যাওয়া সম্পর্ক আবারও নতুন করে স্থাপনের ইঙ্গিত মিলেছে।
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নের নেতৃত্বে দীর্ঘ ২০ মাস পর দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় পারস্পারিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান মোদি। যা আন্তরিকভাবে সমর্থন করেন কার্নে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে স্বাভাবিক করতে হাইকমিশনার নিয়োগের সিদ্ধান্তও নেয় উভয় দেশ।
দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, দুই দেশই ধাপে ধাপে সম্পর্ক স্থিতিশীল করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির ভাষায়, সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের প্রথম পদক্ষেপ হবে হাইকমিশনার নিয়োগ।
এদিকে গুরুত্বপূর্ণ এ সফরের শুরুতেই সাইপ্রাস যান নরেন্দ্র মোদি।গত ২৪ বছরে এটাই কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর। পরে সফরের শেষপর্বে ক্রোয়েশিয়ায় প্রেসিডেন্ট জোরান মিলানোভিচের সঙ্গে আলোচনা শেষে নয়াদিল্লি ফেরেন তিনি।
সূত্র : বিবিসি ও টাইমস ইন্ডিয়া