বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল আগামী বছর থেকে ফোল্ডেবল আইফোন বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন খ্যাতনামা প্রযুক্তি বিশ্লেষক মিং-চি কু।
মিং-চি কু তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পোস্টে জানান, অ্যাপলের আসন্ন ফোল্ডেবল আইফোনের ডিসপ্লে তৈরি করবে স্যামসাং ডিসপ্লে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৬ সালের জন্য আট মিলিয়ন পর্যন্ত ফোল্ডেবল প্যানেল উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে ডিভাইসটির অন্যান্য উপাদান, বিশেষ করে হিঞ্জ বা ভাঁজের প্রযুক্তি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
কু মনে করছেন, এই ফোনের দাম হবে ‘প্রিমিয়াম’ শ্রেণির —অর্থাৎ এটি সাধারণ আইফোনের তুলনায় আরও ব্যয়বহুল হবে।
তবে কু সতর্ক করেছেন, ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে অ্যাপলের পরিকল্পনা এখনো পরিবর্তন হতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

নিউ ইয়র্ক সিটির অ্যাপল ফিফথ অ্যাভিনিউ স্টোরে আইফোন দেখছেন গ্রাহকরা, ছবি : রয়টার্স
আইফোন অ্যাপলের আয় ও মুনাফার অন্যতম প্রধান উৎস। ২০২৪ অর্থবছরে আইফোন থেকে প্রতিষ্ঠানটি আয় করেছে ২০১ বিলিয়ন ডলার। যদিও আইফোন বিক্রির শীর্ষে পৌঁছেছিল ২০২২ সালে, এরপর থেকে অ্যাপল ক্রমাগত চেষ্টা করছে গ্রাহকদের আরও দামী ও উন্নত ডিভাইস ব্যবহারে উৎসাহিত করতে।
প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান যেমন স্যামসাং ও হুয়াওয়ে ২০১৯ সাল থেকেই ফোল্ডেবল ফোন বাজারজাত করছে। এই ধরনের ফোন ব্যবহারকারীদের একটি ট্যাবলেট-সদৃশ বড় স্ক্রিনের অভিজ্ঞতা দিলেও সেটি সহজেই পকেটে রাখা যায়। তবে এই প্রযুক্তি এখনো অনেক সীমাবদ্ধতায় ভরা—বিশেষ করে ভাঁজের জায়গায় স্ক্রিনে ভাঁজের দাগ পড়ে যাওয়া এখনো সমাধান হয়নি।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ডফোর্সের তথ্যমতে, এখনো বিশ্বের মাত্র ১.৫ শতাংশ স্মার্টফোনই ফোল্ডেবল ক্যাটাগরির। অপর এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট জানায়, ২০২৪ সালে এই বাজারের প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৩ শতাংশ এবং ২০২৫ সালে তা আরও কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্র: সিএনবিসি ও সিকিং আলফা