ইসরায়েলে দুই দফা হামলা চালিয়েছে ইরান। গতকাল শনিবার মধ্যরাত ও আজ রবিবার ভোরে দ্রুতগতির মিসাইল হামলায় ইসরায়েলে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
চিকিৎসাকর্মী ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, ইরান হাইফা ও তেল আবিব শহরসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
এরমধ্যে শুধু উত্তর ইসরায়েলে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। নিহতরা আরব ইসরায়েলি বলে জানা গেছে। তারা খাতিব পরিবারের সদস্য। শহরটি ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি অধ্যুষিত। অপরদিকে ভোরের হামলায় ৬০ বছর বয়সী এক নারী প্রাণ হারিয়েছেন।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মেগান ডেভিড আদম জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের বাত ইয়ামে ওই নারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সেখানে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।
অপরদিকে রেহেবোতে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ইরানি হামলায় বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব ও রামাত গানেও বেশ কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেখানকার হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
ইরানের এ হামলার আগে সব ইসরায়েলিকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে এখন তারা এ নির্দেশনা তুলে দিয়েছে।
ইসরায়েলের ওই আরব শহরটিতে হতাহতের সংখ্যা বেশি কারণ সেখানে আশ্রয় নেওয়ার মতো খুব বেশি সুবিধা নেই। এই ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের নাগরিক হলেও তাদের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখে ইসরায়েল।
এদিকে হামলা ও পাল্টা হামলায় দুই দেশে চরম পরিস্থিতি বিরাজ করছে, সেই সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। হামলা ও পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার রাতে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ পারমাণবিক প্রকল্পের স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালানোর পর ইরান পাল্টা হামলা চালায় এবং এরপর থেকে তেল আবিব ও জেরুজালেমে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন, বিস্ফোরণের শব্দ এবং প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইসরায়েল।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল ও আলজাজিরা