যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনেস্কির মতো পরিস্থিতির হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর গতকাল বুধবার (২১ মে) প্রথমবার হোয়াইট হাউজে যান তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। একইসঙ্গে শ্বেতাঙ্গদের ওপর এই অত্যাচারকে ‘গণহত্যা’ বলেও অভিহিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়া চলতি মাসের শুরুতে ডজনখানেক শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয় যুক্তরাষ্ট্রে।
ঠিক এমন অবস্থায় দুই দেশ নতুন করে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে। রামাপোসা যখন হোয়াইট হাউজে তখন জেলেনেস্কির মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন এমনটাই আঁচ করেছিলেন সবাই। গত মার্চে হোয়াইট হাউজে সফরে যান জেলেনেস্কি। যেখানে তার সঙ্গে তর্কে জড়ান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। এমনকি প্রথা থাকলেও খাবার পরিবেশন করা হয়নি ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে। মজার বিষয়, রামাপোসার সঙ্গে এমন কিছু ঘটেনি। এ জন্য চতুরতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।
হোয়াইট হাইজে তার দেশে শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। শ্বেতাঙ্গরা হত্যার শিকার হচ্ছেন। এমন ভিডিও ক্লিপ যখন দেখানো হয় তখন রামাপোসা জানতে চান কোথায় এমন ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া অন্যান্য কোনো প্রশ্ন নিয়ে তেমন তর্কে জড়াননি তিনি। বরং যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরাপের পর সম্ভাব্য ক্ষতি কিভাবে সামাল দেওয়া যায় সেটার ওপর জোর দেন তিনি। চীনের পর দেশটির দ্বিতীয় বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার হলো যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: মিডিলইস্ট আই