ভারতের সামরিক বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে প্রথমবারের মতো যুক্ত হলো লেজার অস্ত্র। সম্প্রতি এই অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে প্রতিবেশি দেশটি। এর মাধ্যমে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত।
দেশটির কর্মকর্তারা জানান, ৩০ কিলোওয়াটের লেজার অস্ত্রটির নাম ‘শাস্ত্র শক্তি’। রাডারের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের স্বোয়ার্ম ড্রোন (একসঙ্গে অনেক ড্রোন) বা ডিভাইস দূর থেকে টার্গেট করে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম এটি।

৩০ কিলোওয়াটের লেজার অস্ত্রটির নাম ‘শাস্ত্র শক্তি’, ছবি: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) নেতৃত্বে এই অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়েছে অন্ধ্র প্রদেশের কুর্নুল শহরের দ্য ন্যাশনাল ওপেন এয়ার রেঞ্জে। এই লেজার অস্ত্রের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল দেশটি। এটি ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার (২.১৭ মাইল) দূর থেকে শত্রুর ড্রোন বা ডিভাইস শনাক্তের পর নিখুঁতভাবে আঘাত করতে সক্ষম।
এ প্রসঙ্গে ডিআরডিও’র চেয়ারম্যান সমির কামাত জানান, ‘শাস্ত্র শক্তি’ খুবই সহজে ড্রোন ও ফিক্সড উইং ইউএভি ধ্বংস করতে সক্ষম। এটা কেবল শুরু। আমরা এমন আরও অ্যাডভান্স প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছি।

দূর থেকে শত্রুর ড্রোন শনাক্তের পর নিখুঁতভাবে আঘাত করতে সক্ষম এটি, ছবি: ডেকান হেরাল্ড
যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ইসরায়েলের পর লেজার অস্ত্রের এলিট ক্লাবে নাম লেখাল ভারত। গত কয়েক বছর ধরে সামরিক খাতে ব্যয় বাড়াচ্ছে দেশটি। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা ও প্রতিবেশি পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান সংঘাতের কারণে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে দিল্লি।
২০২৫-২৬ অর্থ বছরে ভারত সামরিক খাতে খরচ করবে ৬ দশমিক ৮১ ট্রিলিয়ন রূপি। আগের বছরগুলোর তুলনায় এটি বাড়ানো হয়েছে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। একইসঙ্গে দেশীয় প্রযুক্তিতে অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রেও জোর দিচ্ছে ভারত।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ ও এনডিটিভি