ইয়েমেনে হুতিদের ওপর বড় আকারের সামরিক হামলা শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামলার শুরুতে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে এই হামলা অব্যাহত থাকতে পারে।
ট্রাম্প হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরানকে হুতিদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে হবে। ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পুরোপুরি জবাবদিহিতার আওতায় আনবে। আমরা এতে ভালো আচরণ করব না।
জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এটি তাদের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান। যুক্তরাষ্ট্র যখন তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের চাপ বাড়াচ্ছে। তেহরানকে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার টেবিলে আনার চেষ্টা করছে তখনই এ ঘটনা ঘটল।
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় মার্কিন বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থান থেকে ধোঁয়া উড়ছে, ছবি: রয়টার্স
নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প পোস্ট করেন, হুতিদের বলছি- তোমাদের সময় শেষ। আজ থেকে তোমাদের হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। যদি তা না করো, তাহলে এমন হামলা চালানো হবে, যা তোমরা আগে দেখোনি।
এদিকে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় মার্কিন হামলায় অন্তত ১৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হুতি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
হুতি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় সাদা প্রদেশে মার্কিন হামলায় চার শিশু ও এক নারীসহ অন্তত ১১ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। হুতিদের রাজনৈতিক ব্যুরো এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, এই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধির জবাব দিতে আমাদের ইয়েমেনি বাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত।
সানার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হুতিদের শক্ত ঘাঁটির একটি ভবনে হামলা চালানো হয়। হামলা বেশ ভয়াবহ ছিল, ভূমিকম্পের মতো আশেপাশের অঞ্চল কেঁপে ওঠে। এতে নারী ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
রোববার ভোরে আল-মাসিরাহ টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, সাদা প্রদেশের দাহিয়ান শহরের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আরেকটি হামলার পর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সূত্র: রয়টার্স ও বিবিসি
