যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, একই ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হতে পারবেন না। যার ফলে ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মেয়াদটিই হতে যাচ্ছে ট্রাম্পের শেষ মেয়াদ। তবে এক আলোচনায় তৃতীয় মেয়াদে আবারও প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দেননি ট্রাম্প। ট্রাম্প জানান, তিনি ‘শতভাগ নিশ্চিত নন’ যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয় মেয়াদের জন্য লড়তে পারবেন কী না।
ফ্লোরিডায় রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের একটি সম্মেলন ও নৈশভোজে ২৭ জানুয়ারি ট্রাম্প বলেন, ‘আমি পরবর্তী নির্বাচনের জন্য অনেক তহবিল সংগ্রহ করেছি, সম্ভবত এই ফান্ড নিজের জন্য ব্যবহার করতে পারছি না। তবে বিষয়টা নিয়ে আমি শতভাগ নিশ্চিত না।’
হালকা মেজাজে থাকা নতুন প্রেসিডেন্ট স্পিকার মাইক জনসনকে প্রশ্ন করেন, ‘আমি বিষয়টা নিয়ে অতটা নিশ্চিত নয়। মাইক, তুমিই বল, আমি কি আরও একবার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারব ? তবে তোমাকে এর সঙ্গে জড়াতে চাই না।’
তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনার দিকে এর আগেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসে এক সভায় তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান হবে একবার নয়, বরং দুই বা তার চেয়ে বেশিবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশবাসীর সেবা করার সুযোগ পাওয়া।’
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় আমেরিকাজুড়ে। টেনেসির রিপাবলিকান প্রতিনিধি অ্যান্ডি ওগলেস মার্কিন সংবিধান সংস্কার করে ট্রাম্পকে তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেয়ার কথা বলেছেন।তবে সংবিধান সংশোধন করা অনেকটাই কঠিন। ১৯৯২ সালে ২৭তম সংশোধনী পাসের পর সংবিধানে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
সংবিধান সংশোধন করতে চাইলে সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন লাগবে। এই মুহূর্তে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির সেই ধরনের শক্তিমত্তা কংগ্রেসে নেই। তাছাড়া সাংবিধানিক সম্মেলন বা কনস্টিটিউশনাল কনভেনশনের আয়োজন করার মাধ্যমেও সংশোধনী আনা সম্ভব।
এখানেই শেষ নয় পরবর্তীতে, কংগ্রেসে পাস হলেও ওই সংশোধনী কার্যকর হতে তিন চতুর্থাংশ অঙ্গরাজ্যের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।সহজ করে বললে আমেরিকার ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৩৪টি অঙ্গরাজ্যের অনুমোদন লাগবে। ১৮শ শতকের পর এ ধরনের কোনো সম্মেলনের আয়োজন করার নজির নেই যুক্তরাষ্ট্রে।
টিকটক, চিকিৎসা সেবা ও সামাজিক সুরক্ষা, কলম্বিয়া ও নতুন এআই ইঞ্জিন ডিপসিক নিয়েও কথা বলেছেন ট্রাম্প।ডিপসিক প্রসঙ্গে ট্রাম্প মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘উজ্জীবিত হয়ে’ আরও ভালো সমাধান নিয়ে আসার আর্জি জানান।চিকিৎসাসেবা বা সামাজিক সুরক্ষার কোনো সুযোগ-সুবিধা না কমানোর আহবান জানান তিনি।
ট্রাম্প বলেন, টিকটক তার পছন্দের অ্যাপ। শীর্ঘই টিকটক বিক্রি হবে। অনেকেই এই প্ল্যাটফর্ম কেনার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে। এর মধ্যে মাইক্রোসফটও রয়েছে। তবে নতুন মালিকদের সঙ্গে চীনের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।