Home বিশ্ব ইউরোপে কোকাকোলার পণ্য প্রত্যাহার

ইউরোপে কোকাকোলার পণ্য প্রত্যাহার

হ্যালো বাংলাদেশ ডেস্ক
৬০ views

রাসায়নিক যৌগ ক্লোরেটের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় ইউরোপের সব দেশ থেকে কোক-স্প্রাইটসহ নিজেদের তৈরি অন্যান্য পানীয় প্রত্যাহার করে নিচ্ছে বহুজাতিক কোম্পানি কোকাকোলা। বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ থেকে কোক-স্প্রাইট ও কোম্পানির প্রস্তুতকৃত অন্যান্য পানীয়ের ক্যান ও কাঁচের বোতল প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, বাকি দেশগুলো থেকেও এসব ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

কোকাকোলার ইউরোপীয় ইউনিট জানায়, গত নভেম্বর থেকেই ইউরোপে পণ্য প্রত্যাহার করা শুরু হয়েছে। কত সংখ্যক বোতল ও ক্যানজাত কোক-স্প্রাইট এ পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে তার এখনও করেনি কোম্পানিটি, তবে বিপুল পরিমাণ ক্যান ও বোতলজাত পানীয় ইতোমধ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।”

ক্লোরেট একপ্রকার জীবাণুনাশক রাসায়নিক যৌগ ও এর প্রধান উপাদন ক্লোরিন গ্যাস। পানি বিশুদ্ধকরণ ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে এই যৌগটি ব্যাপকহারে ব্যবহৃত হয়। ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অধিভুক্ত সংস্থা ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটি (ইফসা) ২০১৫ সালে একটি গবেষণা পরিচালনা করে। এতে দেখা যায়, খাবার কিংবা পানীয় প্রস্তুতের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মাত্রায় ক্লোরেট ব্যবাহরে কোনো সমস্যা নেই, তবে খাবার-পানীয়তে নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি ক্লোরেটের উপস্থিতি থাকলে তা দীর্ঘ মেয়াদে শিশু ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

কোকাকোলার বেলজিয়াম ইউনিট জানায়, “বেলজিয়ামের অধিকাংশ দোকানের স্টোর থেকে কোক-স্প্রাইটের কাঁচের বোতল এবং ক্যান সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বাকি দোকানগুলো থেকেও শীঘ্রই সরানো হবে।

ফ্রান্স শাখা জানায়, “এ অভিযোগ ওঠার পর কয়েকজন স্বীকৃত ও নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে কোক-স্প্রাইট পরীক্ষা করানো হয়। তারা জানিয়েছে, পানীয়তে ক্লোরেটের উপস্থিতি রয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা কোনো বয়সী মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তাই কোক-স্প্রাইট-ফিউজ টি প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স ইউনিট। ফ্রান্সের বিভিন্ন দোকানের স্টোরে এখনও আগের মতোই কোকাকোলা কোম্পানির পণ্য বিক্রি হচ্ছে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি ও ফরচুন

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ