সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় আরও ৫০ জন যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। ১৫ জানুয়ারি দুই দেশের ২৫ জন করে ৫০ জন মুক্তি পেয়েছে বলে জানিয়েছে কিয়েভ ও মস্কো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া থেকে ২৫ জন ইউক্রেনীয় বন্দিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এরা সবাই মরিপোলের ইস্পাত কারখানা কাজ করতো।
সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে জেলেনস্কি আরও বলেন, আমরা এখনো আশা ছাড়েনি। যাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়েছে তারা সবাই বেসামরিক লোক ও শ্রমিক ছিল।
অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় ২৫ জনকে হস্তান্তর করেছে ইউক্রেন। তবে কিয়েভের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো। মস্তোর দাবি যে ২৫ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে তারা সবাই সামরিক বাহিনীর সদস্য ছিল। এছাড়া ইউক্রেন থেকেও ২৫ রুশ সেনার মুক্তি দেয়ার বিষয়ে স্বীকার করেছে মস্কো।

আমিরাতের মধ্যস্ততায় দুই দেশের বন্দি বিনিময়, ছবি: আরব নিউজ
এক বিবৃতি রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, ২৫ জন রুশ সেনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে তাদের মিত্র দেশ বেলারুশে। এরপর তাদের মস্কোতে আনা হবে। বেলারুশ রাশিয়ার অন্যতম বন্ধু রাষ্ট্র যেটি মস্কোকে সবদিক দিয়ে সহায়তা করছে।
যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে আচরণ সম্পর্কিত ইউক্রেনীয় সমন্বয় কমিটি বলেছে, দীর্ঘ আলোচনার ২৫ জন প্রতিরক্ষাকর্মী এবং বেসামরিক নাগরিককে বন্দিদশা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কমিটির বিবৃতিসহ প্রকাশিত ছবিতে সৈন্যদের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো দেখা গেছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের মে মাসে রুশ বাহিনী তাদেরকে বন্দি করেছিল। এর আগে ২০২৪ সালের মে মাসে দুই দেশের ১৫০ জনকে মুক্তি দেয় উভয় দেশ। আর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর আমিরাতের মধ্যস্ততায় মোট ২ হাজার ৫৮৩ জনকে মুক্তি দেয় দুই দেশ।
তথ্যসূত্র: সান ডট এমভি ও আরব নিউজ