যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা। এটি বাস্তবায়ন করতে ২০ ট্রিলিয়ন ডলার খরচায় তৈরি হতে যাচ্ছে ট্রান্সআটলান্টিক সুড়ঙ্গ।
সুড়ঙ্গ নির্মাণের প্রস্তাবনা নিয়ে নিউজউইক জানিয়েছে, এটির কাজ শুরু হলে এটা হবে সহস্রাব্দের সেরা নির্মাণ স্থাপনার অংশ। লন্ডনের সঙ্গে নিউইয়র্ককে যুক্ত করতে তিন হাজার মাইল গর্ত করে এই সুড়ঙ্গ তৈরিতে ব্যবহার করা হবে ভ্যাকুম টিউব প্রযুক্তি।
এদিকে রগফাস্ট প্রকল্পের আওতায় নরওয়ে সমুদ্র তলদেশে নির্মাণ করছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ এবং গভীর সুড়ঙ্গ। এ ছাড়া উত্তর ইউরোপে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সড়ক এবং রেল সুড়ঙ্গ। এই ফেহমার্নবেল্ট সুড়ঙ্গ যুক্ত করবে ডেনমার্ক ও জার্মানিকে। যাতায়াতের জন্য এই সুড়ঙ্গ উন্মুক্ত করা হবে ২০২৯ সালে।
গ্রীক রিপোর্ট সম্প্রতি জানিয়েছে, দক্ষিণ ইউরোপও বসে নেই। সেখানেও গ্রীস ও তুরস্ককে যুক্ত করার জন্য সেতু নির্মাণের চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। আর পশ্চিম ইউরোপে অনেক কাজ প্রায় শেষ দিকে। যুক্তরাজ্য খুবই দ্রুত গতিতে কাজ করছে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই রেল প্রকল্পের। হাই স্পিড টু নামে পরিচিত পেয়েছে এই প্রকল্পটি।
এ ছাড়া আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করতে চেয়েছিল যুক্তরাজ্য। এই কাজ শুরু হলে যেসব প্রতিবন্ধকতা হবে ওই সব বাধাগুলোর সমাধান না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাতিল হয় এটি নির্মাণের কাজ। এরমধ্যে একটি ছিল পানির গভীরতা বেশি থাকায় তাতে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল আইফেল টাওয়ার। তবে লন্ডন-নিউইয়র্কের মধ্যকার সুড়ঙ্গ সংযোগের কাজ আলোর মুখ দেখবে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকরা।
সিএনএন থেকে অনুদিত