সম্প্রতি ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে এক ছবির ঝলক— গুরু নানকের বায়োপিক। তাতে মূল চরিত্রে দেখা যায় আমির খানকে। আমিরকে দেখে অবাক হয়ে যান নেটিজেনরা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, অভিনেতা কি সত্যিই ‘গুরু নানক’-এর চরিত্রে এবার পর্দায় আসছেন?
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাজনীতির আঙিনা — সব জায়গায় ভাইরাল হয় এই খবর। এরপর শুরু হয় আলোচনা পাশাপাশি বিতর্কও। এমন পরিস্থিতিতে আমির খানের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়।
এক বিবৃতিতে তার টিম জানায়-“এটা সম্পূর্ণ ভুয়া খবর এবং এই ছবির ঝলকের ভিডিওর পুরোটাই এআই দ্বারা তৈরি। আমির খানের সঙ্গে এই প্রকল্পের কোনও সম্পর্ক নেই। গুরু নানকের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল আমির ও তিনি এমন কোনও কাজ কখনও করবেন না যা কোনও ধর্মের অবমাননা হতে পারে।”
প্রসঙ্গত, ছবির সেই টিজারটি এমন এক চ্যানেল থেকে আপলোড করা হয়েছিল, যার টি সিরিজ প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কোনও সম্পর্কই ছিল না। তবুও, ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
এই টিজারটি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পাঞ্জাবের বিজেপি নেতা প্রীতপাল সিং বালিওয়াল সরাসরি দাবি করেন, “এটা শিখ সম্প্রদায়কে উস্কানি দেওয়ার একটা কৌশল। মুসলিম অভিনেতাকে শিখ ধর্মগুরুর ভূমিকায় উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা একেবারে গ্রহণযোগ্য নয়!”
তিনি লিখিত অভিযোগ করে পাঞ্জাব পুলিশ ও সাইবার সেলের কাছে দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, এর থেকেই জানা যায় এই ভিডিওটি ছিল একেবারে পরিকল্পিত— কিন্তু কেন? উত্তর এখনও অজানা।
উল্লেখ্য, এখনও আমির অভিনীত সর্বশেষ ছবি, লাল সিং চাড্ডা (২০২২) বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়লেও নিজের আগামী ছবি নিয়ে জনমনে উত্তেজনা তৈরি করতে সফল আমির। এই বছরেই তিনি ফিরছেন সিতারে জমিন পর নিয়ে। ২০০৮-এর তারে জমিন পর-এর সিক্যুয়েল হবে সিতারে জমিন পার সিনেমাটি।
এই সিনেমায় আমিরের বিপরীতে জেনেলিয়া ডি’সুজা ও থাকছেন। ফিল্ম ট্রেড অ্যানালিস্টদের ধারণা, এই সিনেমাই হতে পারে আমিরের পরবর্তী বড় হিট।
সূত্র: সিনেমা এক্সপ্রেস, হিন্দুস্তান টাইমস ও ফিল্মফেয়ার