Home টপ পোস্ট কঠোর পদক্ষেপের অভাবে চালের দাম বাড়ছে

কঠোর পদক্ষেপের অভাবে চালের দাম বাড়ছে

ইকবাল হোসেন
২২৯ views

সরকারের কঠোর পদক্ষেপের অভাবে ভরা মৌসুমেও চালের দাম বাড়ছে মোকামেই। তার প্রভাব পড়ছে পাইকারি ও খোলা বাজারে। শীত মৌসুমে সবজির দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এলেও চালের বাজারে বেসামাল মূল্যবৃদ্ধি উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করছে ভোক্তাদের মধ্যে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সরু চাল কেজিতে বেড়েছে ৮-১০ টাকা; মোটা চাল বেড়েছে ৫-৭ টাকা।  বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ২৫০-৩০০ টাকা পর্যন্ত।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন,  ধানের উৎপাদনে ঘাটতি নেই, ব্যবসায়ীদের কাছে যখন যথেষ্ট মজুতও আছে।  তবুও দাম বাড়ছে। দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের অভাব রয়েছে। আগে সরকার দাম নির্ধারণ করে দিতো। মিলারদের চাপে রাখতো। এবার তেমন কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।  তাই দামও বাড়ছে। 

বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা মাঝারি আকারের বিআর-২৮ ও পাইজাম জাতের চালের। এ ধরনের চালের ভোক্তা সাধারণত মধ্যবিত্ত। সরকারি সংস্থা টিসিবির তথ্য মতে, ৫ জানুয়ারি (রোববার) মোটা চালের কেজি ৫০-৫৫, মাঝারি চাল ৫৮-৬৫ এবং চিকন চাল ৭৫-৮৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির হিসাবে, গত এক মাসে সরু চালের দর প্রায় ৪ শতাংশ, মাঝারি চালের ৮ ও মোটা চালের দর ২ শতাংশ বেড়েছে। তবে এক বছরের ব্যবধানে দাম বৃদ্ধির এই হার আরও বেশি। এ সময় সব ধরনের চালের দর বেড়েছে গড়ে ৭ থেকে  ১৭ শতাংশ।

পণ্যের দাম কমাতে আমদানি শুল্ক কমানোসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। এর মূল কারণও সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা। মিলারদের কারসাজিতে চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। যারা চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে সিন্ডিকেটের সদস্যরা দাম আরো বাড়বে।

এ বিষয়ে আকিজ রিসোর্সেসের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আকিজ এসেনসিয়ালসের কর্মকর্তা ও বাজার বিশ্লেষক এস এম রাহাদুজ্জামান রাজীব হ্যালো বাংলাদেশকে বলেন, ভরা মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধিতে মনে হচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও সক্ষমতায় ঘাটতি রয়েছে। নিজেদের সুনামের স্বার্থেই এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। মূল্যবৃদ্ধির সিন্ডিকেটে আঘাত হানতে হবে শক্তভাবে। ধান ও চালের দাম নির্ধারণ করে দিতে হবে।  চালের মজুত করে যারা বাজার অস্থিতিশীল করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, শুল্ক কমানোর পরও ব্যবসায়ীরা আমদানি কম করছে। এর অন্যতম কারণ বিশ্ববাজারে এখন চালের দর অনেক বেশি। ভারত থেকে আমদানি করলে চালের দর বাংলাদেশের চেয়ে বেশি পড়বে। এ জন্য আমদানিতে আগ্রহ কম। তিনি আরও বলেন, ডলার সংকটের কারণে ভারত থেকে আমদানির জন্য এলসি করলে এখনও খরচ বেশি পড়ে।  ভারত থেকে যদি সাশ্রয়ী মূল্যে সরু চাল আমদানি করা যায় তাহলে দেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। 

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ