Home সফল মুখ যমুনার চরে নিজের তৈরি বিমানে উড়লেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি

যমুনার চরে নিজের তৈরি বিমানে উড়লেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি

৮৩ views

নিজের তৈরি আরসি বিমানে উড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মানিকগঞ্জের ষাইটঘর তেওতা এলাকার তরুণ উদ্ভাবক জুলহাস মোল্লা। এখন সেই বিমান ও জুলহাসকে দেখতে ভিড় করছেন স্থানীয়রা।

জুলহাস মোল্লার বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকায় হলেও নদী ভাঙনে তার পরিবার বর্তমানে শিবালয় উপজেলার ষাইটগর তেওতায় বসবাস করছে।

ছয় ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জুলহাস পঞ্চম। ২০১৪ সালে জিয়নপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। তবে অর্থাভাবে পড়ালেখা আর চালিয়ে যেতে পারেননি। বর্তমানে ঢাকায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করছেন ২৮ বছরের এই তরুণ।

বিমান উড্ডয়ন

সকাল ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উড্ডয়ন করে জুলহাসের বিমানটি

জুলহাসের বাবা জলিল মোল্লা গণমাধ্যমকে জানান,  ‘জুলহাস ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন প্লাস্টিকের জিনিস কাটাকাটি করে কিছু একটা বানাতে চাইতো। জিজ্ঞেস করলে বলতো, একদিন দেখবে কী বানিয়েছি।’

‘গত চার বছর ধরে বিমান তৈরি করে উড়ানোর চেষ্টা করে আসছিল জুলহাস। তবে সফল হতে পারেনি। কিন্তু এবার সফলতার মুখ দেখেছে। গতকাল সোমবার যমুনার চরে তার বিমানটি প্রায় ৫০ ফুট ওপরে উঠতে সক্ষম হয়। ’

জুলহাসের বিমান

যমুনার চরে নিজের তৈরি বিমানে চড়ছেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি জুলহাস মোল্লা

‘আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সে আনুষ্ঠানিকভাবে বিমানটি উড্ডয়ন করে। সেসময় জেলা প্রশাসক ড. মানেয়ার হোসেন মোল্লাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন’, বলে জানান জলিল মোল্লা।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জুলহাসের গবেষণা কাজে সরকার সহযোগিতা করবে। প্রাথমিকভাবে কিছু আর্থিক সহযোগিতা করে তাকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।’

জুলহাস মোল্লা বলেন, ‘তিন বছর গবেষণা এবং এক বছর সময় লেগেছে উড়োজাহাজটি তৈরি করতে। সব মিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। অ্যালুমিনিয়াম ও লোহা দিয়ে বিমানটির অবকাঠামো তৈরি। পানির পাম্পের ‘সেভেন হর্স পাওয়ারের’ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই উড়োজাহাজ মূলত পরীক্ষামূলকভাবে প্রশিক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে এটি তৈরি করা হয়নি। তবে সরকারি অর্থায়ন ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাণিজ্যিকভাবে এটি তৈরি করা যেতে পারে। ৫০ ফুট ওপরে উড়তে পারে উড়োজাহাজটি।’

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ