ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সর্বশ্রেষ্ঠ শিরোপা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ইউরোপ সেরা হতে গতকাল শনিবার রাতে ফাইনালে লড়াইয়ে নেমেছিল ইন্টার মিলান ও পিএসজি। ইতালির ক্লাব ইন্টারের লক্ষ্য ছিল ১৫ বছর পর আবার এ শিরোপা ঘরে তোলা। অন্যদিকে ফরাসি জায়ান্ট পিএসজির লক্ষ্য প্রথমবারের মত এ ট্রফির স্বাদ নেওয়া। আর দুই দলের এ লড়াইয়ে শেষ হাসি পিএসজির।
মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় গতকাল ইন্টারকে ৫-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে পিএসজি। ইতালির ক্লাবটিকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে ক্লাবটি। পিএসজির জয়ের পথে গোলের দেখা পেয়েছেন আশরাফ হাকিমি, দিজায়ার দোয়ে, খাভিচি, সানি মায়ুলু। দুর্দান্ত এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পাশাপাশি ট্রেবল নিশ্চিত করেছে ফরাসি ক্লাবটি।
এদিকে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পাশাপাশি বড় অঙ্কের অর্থও ঢুকছে পিএসজির অ্যাকাউন্টে। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অনুষ্ঠিত হয়েছে নতুন ফরম্যাটে যাতে অংশ নিয়েছে ৩৬ দল। ফলে এবারের প্রাইজমানিও ছিল আগের চেয়ে বেশি।
এবারের আসরে প্রাইজমানি ছিল ২.৭১ বিলিয়ন ডলার যা আগের বার ছিল ২.১৯ বিলিয়ন ডলার। বিশাল এই প্রাইজমানির এই আসরে শুধু চ্যাম্পিয়ন্স হয়েই পিএসজি পাচ্ছে ২৭.৮ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৩৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আর রানার্স আপ হয়ে ইন্টার পাচ্ছে ২০.৫ মিলিয়ন ডলার।
একটা বিষয় মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কোনো দল চ্যাম্পিয়নস লিগে কতদূর এগোলো, শুধু তার ওপর নির্ভর করে আয় নির্ধারিত হয় না।গ্রুপ পর্বে প্রতিটি জয়ের জন্য, নকআউট পর্বে ওঠার জন্য, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার-ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল এবং ফাইনালে পৌঁছানোর জন্যও আলাদা করে অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়। এর মানে, যে দল শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতবে, তারা মোট আয়ে ১০০ মিলিয়নের বেশি হয়।
উয়েফার নির্ধারিত অর্থ পুরস্কারের মধ্যে শুধু ফিক্সড ক্যাশ প্রাইজই ধরা হয়। তবে আসল ব্যাপার হলো, কোনো ক্লাবের মোট আয় এই হিসাব ছাড়িয়ে অনেক বেশি হতে পারে! পারফরম্যান্স বোনাস, সম্প্রচার স্বত্ব (ব্রডকাস্টিং রাইটস), স্পনসরশিপ চুক্তি, প্রতিটি ম্যাচ ডে থেকে টিকিট, পণ্য বিক্রি ইত্যাদির আয়ও আছে। চ্যাম্পিয়নস লিগ চলাকালীন এসব উৎস থেকে যে অর্থ জমা হয়, তা মিলে ক্লাবগুলোর মোট আয় কয়েকশো মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে।
সূত্র: সকার ওয়ে