ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে সরে যেতে বললেও ফারুক আহমেদ পদত্যাগ করতে চান না বলে জানিয়েছেন। বিসিবি সভাপতি গণমাধ্যমকেবলেন, ‘আমি কেন পদত্যাগ করব? কারণ জানতে চাই।’
গতকাল রাতে মন্ত্রণালয় থেকে ফারুককে সরে যেতে বলা হয়। বৃহস্পতিবার দিনভর আলোচনার মধ্যে বিকেলে ফারুক বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি পদত্যাগ করার কথা চিন্তা করছি না। আমাকে সরে যেতে বলা হলেও কেন আমাকে সরে যেতে হবে সেটা বলা হয়নি। এ ছাড়া এই পদে আমি নিজের ইচ্ছায় আসিনি, আমাকে নিয়ে আসা হয়েছে। বাকি সবাই থাকলে আমাকেই শুধু যেতে হবে কেন?’
এদিকে সাবেক অধিনায়ক ও আইসিসি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সভাপতি করতে চায় বলে জানা যায়। আমিনুল আজ সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, বিসিবিতে যুক্ত হতে হতে মন্ত্রণালয় থেকে তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তিনি এই প্রস্তাবে রাজি আছেন।
গত বছর আগস্ট মাসে ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে বদলে যায় বিসিবির শীর্ষ পদ। আত্মগোপনে থেকে নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করেন। একই দিনে ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়ন নিয়ে বিসিবিতে কাউন্সিলর হয়ে পরিচালক ও সভাপতি হন ফারুক।
ক্রীড়া পরিষদই আবার ফারুককে সরে যেতে বলছে। তিনি নিজে সরে না গেলে তার কাউন্সিলরশিপ সরিয়ে নেওয়া হতে পারে কিনা এই ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি ফারুক। গত আগস্টে ক্রীড়া পরিষদ জালাল ইউনূস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববিকে পদত্যাগ করতে বলে। জালাল পদ ছেড়ে দিলেও সাজ্জাদুল অনড় ছিলেন, পরে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই দুজনের ফাঁকা পদেই পরিচালক হক নাজমুল আবেদিন ফাহিম ও ফারুক আহমেদ।
সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিসিবি সভাপতি ফারুকের টানাপোড়েন চলছে। তাকে জোর করে সরিয়ে দেওয়া হলে আবার সরকারি হস্তক্ষেপের বিষয়টিও সামনে আসতে পারে। সব মিলিয়ে দেশের ক্রিকেটে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা ও অস্থিরতা।