রবের্ত লেভানদোভস্কির জোড়া গোলে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। এ জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখল হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। বুধবার আসরের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে লেভা ছাড়াও জালের দেখা পেয়েছেন রাফিনিয়া ও লামিনে ইয়ামাল।
চাপ ধরে রেখে এদিন ২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ফ্রি কিকে ইনিগো মার্তিনেসের হেডে বল পেয়ে যান পাউ কুবার্সি। তার শট কোবেলের হাতে লাগার পরও জালেই যাচ্ছিল, সহজাত প্রতিক্রিয়ায় ছুটে গিয়ে পা ছুঁয়ে গোল নিজের করে নেন রাফিনিয়া!
ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের পা ছোঁয়ানোর ব্যাপারটা শুরুতে অনেকে বুঝতে পারেননি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের প্রথম গোল উদযাপনে মাতেন কুবার্সি। অভিনন্দন জানান সতীর্থরা। পরে রিপ্লে দেখে বোঝা যায়, লাইনে থাকার সময় রাফিনিয়ার পা স্পর্শ করেছিল বল।
পরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে বার্সেলোনা। ইয়ামালের ক্রসে রাফিনিয়া হেডে খুঁজে নেন লেভানদোভস্কিকে। অনেকটা ক্রসবারের নিচ থেকে হেডে বাকিটা সারেন অভিজ্ঞ পোলিশ স্ট্রাইকার। প্রথম গোলে যেমন স্বার্থপরতা দেখান রাফিনিয়া, এই গোলে তেমন নিঃস্বার্থ ভূমিকা রাখেন। খুব ভালো জায়গায় থাকলেও নিজে গোলের চেষ্টা করেননি তিনি।
খেলার ৬৫তম মিনিটে লোপেসের শট ব্লকড হয় বরুশিয়ার রক্ষণে। পরের মিনিটে তরুণ মিডফিল্ডারের কাছ থেকে বল পেয়ে গতিময় শটে জাল খুঁজে নেন লেভানদোভস্কি। ঝাঁপিয়ে হাত ছোঁয়ালেও জালে যাওয়া ঠেকাতে পারেননি কোবেল।
গতিময় প্রতি আক্রমণ থেকে ৭৭তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় বার্সেলোনা। রাফিনিয়ার কাছ থেকে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেন ইয়ামাল।
আগামী মঙ্গলবার ডর্টমুন্ডের মাঠে হবে ফিরতি লেগ।