Home বিজ্ঞান চাঁদে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করছে চীন ও রাশিয়া

চাঁদে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করছে চীন ও রাশিয়া

৪৬ views

প্রায় ৬৫ বছর আগে চন্দ্র বা চাঁদে মিশন শুরু করে সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) বৈমানিক ও  নভোচারী ইউরি গ্যাগারিন। তিনি সর্বপ্রথম ব্যক্তি হিসেবে ভস্টক নভোযানে করে ১৯৬১ সালে চাঁদে গমন করেন। চন্দ্র জয়ের প্রায় সাত দশক পর এবার  চন্দ্রে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করতে যাচ্ছে বিশ্বের পরাশক্তিধর দুই দেশ।

চাঁদে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করছে চীন ও রাশিয়া। সম্প্রতি তারা এই সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।  ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এই কেন্দ্র। এর নেতৃত্ব দেবে চীন ও রাশিয়া। প্রাথমিকভাবে ২০৩৩-২০৩৫ সালে এটি শেষ করার পরিকল্পনা করেছে দুই দেশ।

পরমাণু কেন্দ্র চাঁদে

চাঁদে রাশিয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি ঘোষণা করেছে চীন, ছবি: লাইভ সায়েন্স

গত ৮ মে এক বিবৃতিতে রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমস জানায়, ‘এই কেন্দ্রটি মৌলিক মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি পরীক্ষায় ভূমিকা রাখবে। তবে পুরোপুরি কাজ শেষ হতে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত লেগে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব হবে সেটি এখনো পরিস্কার নয়।

এই প্রসঙ্গে রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমস এর মহাপরিচালক ইউরি বরিসোভ বলেন, এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে। সৌর প্যানেলের মাধ্যমে চাঁদে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরকে কিভাবে ঠান্ডা রাখা যায় সে বিষয়ে গবেষণা চলছে।

রাশিয়া চাঁদে বিদ্যুৎ

চীনের সাথে চাঁদে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বিবেচনা করছে রাশিয়া, ছবি: ইয়াহু নিউজ

বরিসোভ ২০২৪ সালে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, এই প্রকল্পটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেষ হবে। কোনো মানুষের সেখানে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। একই বছরের শুরুর দিকে চন্দ্রে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প চালু করতে টানা ৬ সপ্তাহ ধরে রুশ মহাকাশ গবেষকরা আলোচনা করেছেন বলে জানান রসকসমসের মহাপরিচালক ইউরি রবিসোভ। 
সূত্র: লাইভ সায়েন্স, ইয়াহু নিউজ ও রয়টার্স

 

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ