সকালের শুরুটা যেমন হবে, দিনের বাকি সময়টাও প্রায় তেমনই কাটে—এই কথাটি শুনতে যতই সাধারণ মনে হোক না কেন, বাস্তবতা কিন্তু একদম তাই। সত্যি বলতে, সকালে ঘুম থেকে উঠে চটজলদি প্রোডাক্টিভ হওয়া অনেকের কাছেই চ্যালেঞ্জের মতো। ঘুম জড়ানো চোখে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বারবার “আর ৫ মিনিট” বলার অভ্যাস থেকে বেরিয়ে এসে যদি একটু রুটিন মেনে চলা যায়, তাহলে সকাল হতে পারে সবচেয়ে ফলপ্রসূ সময়।
আগের রাতেই তৈরি করুন “সকালের প্ল্যান”
প্রোডাক্টিভ সকাল আসলে আগের রাত থেকেই শুরু হয়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে পরদিন সকালে কী করবেন, তার একটা ছোট্ট টুডু লিস্ট বা মিনিমাম ৩টা কাজ ঠিক করে রাখুন। এতে মাথায় পরিষ্কার ধারণা থাকবে, সকালটা কীভাবে কাটবে।
অ্যালার্মে ‘স্নুজ’ নয়, বরং আলোতে জাগুন
স্নুজ বাটন দিনের সবচেয়ে প্রোডাক্টিভ সময়টাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। স্নুজ না করে বিছানার পাশে প্রাকৃতিক আলো প্রবেশের ব্যবস্থা করুন। সকালে সূর্যের আলো শরীরে মেলাটোনিন কমিয়ে ও কর্টিসল বাড়িয়ে দেয়, যা আপনাকে সজাগ হতে সাহায্য করে।
পান করুন ১ গ্লাস পানি
ঘুম থেকে উঠে শরীর ডিহাইড্রেটেড থাকে, ফলে মস্তিষ্ক ধীরগতিতে কাজ করে। ঘুম ভাঙার পরপরই ১ গ্লাস পানি পান করুন। এটা আপনার শরীরকে রিফ্রেশ করে তুলবে ও ব্রেনকে সক্রিয় করবে।
মাইক্রো মুভমেন্টে শুরু হোক দিন
মাঝারি ধরনের স্ট্রেচিং, ব্রিস্ক ওয়াক বা মাত্র ৫ মিনিটের বডি ওয়ার্মআপ আপনার শরীর ও মন দুটোই চাঙা করে তুলতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, সকালের হালকা এক্সারসাইজ মানসিক একাগ্রতা ও এনার্জি বাড়ায়।
“ডিজিটাল সাইলেন্স” বজায় রাখুন প্রথম ৩০ মিনিট
সকালে উঠেই ফোন চেক করা মানেই আপনার মনোযোগ বাইরের জগতে ছড়িয়ে পড়া। এর বদলে দিন শুরু হোক জার্নালিং, ধ্যান, বা বই পড়ার মতো মননশীল অভ্যাস দিয়ে।
প্রোডাক্টিভিটি জাদু নয়, বরং অভ্যাসের ফল। প্রতিদিন একটু করে চর্চা করলে আপনার সকালও হয়ে উঠবে আপনার দিনবদলের সেরা হাতিয়ার।
ঘুম থেকে উঠে প্রোডাক্টিভ হওয়ার ৫টি টিপস
৪১

আগের পোষ্ট