ভোরের আলো মানেই নতুন সম্ভাবনা, নতুন আশার হাতছানি। যেভাবে দিনের শুরু হয়, অনেকটা সেভাবেই গড়ে ওঠে বাকি সময়টা। তাই ঘুম থেকে ওঠার পর কয়েকটি ছোট্ট অভ্যাস আপনাকে রাখতে পারে চনমনে, প্রফুল্ল ও ফুরফুরে মেজাজে সারাটা দিন!
নিজেকে কিছু সময় দিন – প্রযুক্তিহীন সকাল
সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফোনে মেসেজ চেক করার অভ্যাসটা একটু ছাড়ুন। বরং চোখ মেলেই কয়েক মিনিট নিজের সঙ্গেই থাকুন। জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ভোরের আলোটুকু গায়ে মেখে দিন শুরু হোক।
এক গ্লাস পানি – জীবনীশক্তির প্রথম ধাপ
সারা রাত ঘুমের পর শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। তাই এক গ্লাস ঠান্ডা বা কুসুম গরম পানি পান করুন। চাইলে সঙ্গে লেবু, মধু বা এক চিমটে সাদা লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন। শরীর জেগে উঠবে ধীরে ধীরে।

ঘুমের পর ডিহাইড্রেটেড শরীর সতেজ করতে এক গ্লাস পানিই যথেষ্ঠ, ছবি: ফ্রিপিক
হালকা স্ট্রেচিং বা যোগব্যায়াম
মেঘলা সকাল হোক বা ঝলমলে রোদ, শরীর একটু নাড়াচাড়া করলেই মনটা হালকা হয়ে যায়। কিছু মিনিট যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম বা হালকা স্ট্রেচিং করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে, মানসিক প্রশান্তিও মেলে।
একটি “মর্নিং জার্নাল” রাখুন
কাগজে কলমে ২-৩টি বাক্যে লিখে ফেলুন আজকের উদ্দেশ্য বা কৃতজ্ঞতার কিছু কথা। “আজ নিজেকে ভালোবাসব”, “মায়ের হাসি দেখার জন্য ধন্য” — এমন কিছু ছোট্ট লাইনে সারাদিনের মনোভাব বদলে যেতে পারে।

সকালবেলা জার্নালিং খুব ভালো একটি অভ্যাস, ছবি: ফ্রিপিক
স্নিগ্ধ সঙ্গীতের স্পর্শ
সকালের কাজ করতে করতে হালকা কোনো গান বা প্রাকৃতিক শব্দ বাজিয়ে রাখলে মন সতেজ থাকে। চা বানানোর সময় পাখির ডাক বা বৃষ্টির শব্দ শুনে দেখেছেন কখনও?
সুষম সকালের ব্রেকফাস্ট
এক কাপ চা বা কফির সঙ্গে পুষ্টিকর নাস্তা যেমন ওটস, স্যান্ডউইচ, ছাতুর শরবত বা ফল — এগুলো শুধু শরীরই নয়, মনকেও খুশি রাখে। “খালি পেটে রাগ বেশি হয়” কথাটা কিন্তু বেশ সত্য!
একটি ছোট্ট হাসি, একটি ছোট্ট ধন্যবাদ
সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে একটি হাসি উপহার দিন। অথবা কারও কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন – পরিবার, সহকর্মী বা এমনকি নিজেকেই। ছোট্ট এই কাজটা সারা দিনের মুড বদলে দিতে পারে।
সকালের কিছু সচেতন অভ্যাস সারাদিনের ক্লান্তি ও মানসিক চাপ অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। মনে রাখবেন, নিজেকে সময় দেওয়া মানেই আত্মার যত্ন নেওয়া। দিনটা শুরু হোক ভালোবাসা, স্বস্তি আর ছোট ছোট সুখ দিয়ে।