রোদের আঁচ যেন শহরের রাস্তাঘাট, জানালা, এমনকি মানুষের মনেও জ্বলন্ত হয়ে উঠেছে। এই চৈত্রে যখন শরীর ঘামছে, মেজাজ গরম আর মুখ শুকিয়ে আসছে, তখন এক গ্লাস ঠান্ডা আইসড-টি যেন একফোঁটা শান্তি এনে দেয়। হালকা সুগন্ধি, ঠান্ডা আর সতেজ এই পানীয়টি শুধু তৃষ্ণা মেটায় না, নিমেষেই শরীরের অবসাদ দূর করে ফেলতে পারে।
আইসড-টির জনপ্রিয়তা
১৮৭৯ সালে প্রকাশিত রান্নার বই ‘হাউজকিপিং ইন ওল্ড ভার্জিনিয়া’-তে প্রথম আইসড-টির রেসিপি পাওয়া যায়। তবে এটি জনপ্রিয়তা পায় আমেরিকায় ১৯০৪ সালের সেন্ট লুইস ওয়ার্ল্ড ফেয়ারে। এরপর ধীরে ধীরে এটি পৌঁছে গেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ইউরোপ থেকে এশিয়া, এমনকি আমাদের বাংলাদেশেও এখন এটি গ্রীষ্মকালের অন্যতম পছন্দের পানীয়। কফির চেয়ে হালকা, কোমল পানীয়ের চেয়ে স্বাস্থ্যকর—এই অনন্য অবস্থানই তাকে করে তুলেছে এত জনপ্রিয়। চায়ের দেশ বাংলাদেশে আইসড-টির প্রতি আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম, যারা একটু নতুন স্বাদ খোঁজে, তাদের কাছে এটি একেবারে পারফেক্ট। অনেক ফ্লেভারের আইসড-টি বানানো যায়। তবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ক্ল্যাসিক লেমন মিন্ট আইসড-টির রেসিপি দেখে নেই –

চায়ের দেশ বাংলাদেশে আইসড-টির প্রতি আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে, ছবি: টেস্কো রিয়াল ফুড
লেমন আইসড-টির জন্য যা লাগবে:
- ২ টি টি-ব্যাগ (গ্রিন টি বা ব্ল্যাক টি)
- ২ কাপ পানি
- ২ টেবিল চামচ মধু বা চিনি (রুচি অনুযায়ী)
- ১টি লেবুর রস
- কয়েকটি বরফকুচি
- সাজানোর জন্য পুদিনা পাতা বা লেবুর স্লাইস

আসছে গ্রীষ্মে পাকা আম দিয়ে বানাতে পারেন ম্যাঙ্গো আইসড-টি, ছবি: ইউনিলিভার ফুড সলিউশনস
প্রস্তুত প্রণালি:
- প্রথমে ২ কাপ গরম পানিতে টি-ব্যাগ ডুবিয়ে ৫-৭ মিনিট রেখে দিন।
- চা ঠান্ডা হয়ে গেলে এতে মধু বা চিনি মিশিয়ে দিন।
- এরপর লেবুর রস মিশিয়ে ফ্রিজে ৩০ মিনিট রাখুন।
- গ্লাসে বরফ কুচি দিয়ে ঠান্ডা আইসড-টি ঢালুন।
- উপরে দিন পুদিনা পাতা বা লেবুর স্লাইস।
ব্যস! তৈরি হয়ে গেল রিফ্রেশিং লেমন আইসড-টি।
আরও কিছু ফ্লেভার আইডিয়া:
- ম্যাঙ্গো জুস বা ম্যাশড ম্যাঙ্গো মিশিয়ে দিন চায়ের সঙ্গে।
- ব্ল্যাক টি-তে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি বা রাস্পবেরি মিশিয়ে বানানো যায় একদম ককটেল স্বাদের বেরি ফিউশন আইসড-টি।
- শুধু আদা ও মধু দিয়ে তৈরি হানি-জিঞ্জার আইসড-টি শরীর সতেজ করার পাশাপাশি হজমের জন্যও বেশ উপকারি।