Home লাইফস্টাইল ইফতারে দই-চিড়া কেন এত জনপ্রিয়?

ইফতারে দই-চিড়া কেন এত জনপ্রিয়?

ফাহমিদা শিকদার
২৪ views

রমজানে সারাদিন রোজা রাখার পর শরীর দ্রুত শক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে দই-চিড়া একটি আদর্শ খাদ্য, যা আমাদের উপমহাদেশের ইফতার সংস্কৃতিতে যুগ যুগ ধরে জনপ্রিয়। এটি শুধু পুষ্টিকরই নয়, বরং সহজপ্রাপ্য ও সহজে প্রস্তুত করা যায় বলে বেশিরভাগ মানুষ ইফতারে এটি রাখতে পছন্দ করেন।

দই-চিড়ার ঐতিহ্য ও জনপ্রিয়তা

দই-চিড়ার প্রচলন আমাদের দেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে দীর্ঘদিনের। এটি মূলত গ্রামবাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার, যা কৃষকেরা সকালের নাশতায় গ্রহণ করতেন কারণ এটি দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে শক্তি ধরে রাখে। আধুনিক যুগে এটি শুধু গ্রামেই নয়, শহরের মানুষের কাছেও সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে ইফতারির জন্য। কারণ সারাদিন রোজার পর এটি শরীরকে সতেজ করে ও তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়।

দই-চিড়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

  • সারাদিন রোজার পর ভারী খাবার খেলে অনেকের হজমের সমস্যা হতে পারে। দই-চিড়া হালকা এবং সহজে হজমযোগ্য, যা পাকস্থলীর উপর কোনো বাড়তি চাপ ফেলে না।
  • চিড়া মূলত ভাত থেকেই তৈরি হয়, যা শক্তির চমৎকার উৎস। এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরকে দ্রুত শক্তি যোগায়, আর দইয়ে থাকা প্রোটিন ও ভালো ব্যাকটেরিয়া শরীরের জন্য উপকারী।
  • দইয়ে প্রোবায়োটিক উপাদান থাকে, যা হজমের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি ও বদহজমের সমস্যা কমায়, যা অনেকের জন্য রোজার পর প্রয়োজনীয় হতে পারে।

দই-চিড়া যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিকর, ছবি: প্রবাসী দিগন্ত

  • দই ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের ভালো উৎস, যা হাড় ও পেশির জন্য উপকারী। অন্যদিকে, চিড়ায় রয়েছে ফাইবার ও আয়রন, যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • গরমের সময় রোজার পর অনেকেই ক্লান্ত ও অবসন্ন অনুভব করেন। দই-চিড়া শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রোজার পর শরীরকে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।
  • ইফতারের জন্য অনেক খাবারই প্রস্তুত করতে সময় ও অর্থ ব্যয় হয়। কিন্তু দই-চিড়া সহজলভ্য, সাশ্রয়ী এবং দ্রুত তৈরি করা যায়, যা এটি জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ।

ইফতারে দই-চিড়া কেন বেছে নেবেন?

আজকাল ইফতারির জন্য বাহারি খাবারের প্রচলন থাকলেও, স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ভাজাপোড়া খাবার এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যা দই-চিড়ার ক্ষেত্রে ঘটে না। এটি শরীরে দীর্ঘসময় ধরে প্রশান্তি এনে দেয় এবং পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। যারা ডায়েট মেনে ইফতার করতে চান, তাদের জন্যও এটি দারুণ এক বিকল্প।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ