২০২২ সালে কাতারে বহুপ্রতীক্ষিত বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পান আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ফুটবলার লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ ছাড়াও আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে জিতেছেন একের পর ট্রফি। এবার সেই জার্সিই ‘নিষিদ্ধ’ করা হলো প্যারাগুয়েতে।
২০২৬ সালের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে শীর্ষস্থানে আছে আর্জেন্টিনা। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২২। আগামী ১৫ নভেম্বর বাছাই পর্বের ম্যাচে প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। ইন্টার মিয়ামির হয়ে এমএলএস কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর প্রথম পরীক্ষায় নামবেন মেসি।
কিন্তু তার আগেই নতুন বিধি-নিষেধ জারি করেছে স্বাগতিক দেশ প্যারাগুয়ে। স্থানীয় দর্শকরা নীল-সাদা এলএম১০ (লিওনেল মেসি ১০) জার্সি পরে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন না।
শুধু মেসির জার্সিই নয়, স্থানীয় দর্শকদের জন্য আর্জেন্টিনার নীল-সাদা জার্সিই নিষিদ্ধ। এমনকি মেসির পুরনো ক্লাব বার্সেলোনা ও বর্তমান ক্লাব ইন্টার মিয়ামির জার্সির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।
প্যারাগুয়ে ফুটবল সংস্থার পক্ষ থেকে ফার্নান্দো ভিলাবোয়া বলছেন, আমরা ইতিমধ্যে স্থানীয়দের জানিয়ে দিয়েছি, স্টেডিয়ামে প্যারাগুয়ে ছাড়া অন্য কোনো দলের জার্সি পরে ঢোকা যাবে না। তবে নিরপেক্ষ দলের জার্সিতে ছাড় দেওয়া হবে। কিন্তু বিপক্ষ দলের জার্সি পরে স্টেডিয়ামে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না।
কোনো প্লেয়ারের বিরুদ্ধে আমরা নই। প্লেয়ারদের আমরা শ্রদ্ধাই করি। হোম টিমের সুবিধা পাওয়ার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মেসির জনপ্রিয়তা গোটা বিশ্বে। আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে ম্যাচে মেসির নাম লেখা জার্সি পরে অনেকেই খেলা দেখতে আসতে পারেন। কিন্তু নতুন এই নিয়মের কারণে হয়তো মেসির নাম লেখা নীল-সাদা জার্সি দেখা যাবে না মাঠে। প্যারাগুয়ের ঘরের মাঠ যে আর্জেন্টিনার জন্য বধ্যভূমি হতে চলেছে, তা বোঝাই যাচ্ছে।
আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে নামার আগেই যে কেবল এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে প্যারাগুয়ে তা নয়। ১০ সেপ্টেম্বর ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল প্যারাগুয়ের। সেদিনও একই নিয়ম আরোপ করেছিল প্যারাগুয়ে ফুটবল সংস্থা। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে প্যারাগুয়ে বর্তমানে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
ফুটবল বিশ্লেষকরা বলছেন, প্যারাগুয়ে-আর্জেন্টিনা ম্যাচে আলাদা করে নজর থাকবে মেসির দিকে। মেজর লিগ সকারে মেসির ইন্টার মিয়ামি ছিটকে গেছে। মেসি সেই ম্যাচে গোল করলেও মিয়ামি হেরে যায়। প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে মেসি পুরো মনোনিবেশ করবেন বলেই মনে করেন ক্রিড়ামোদীরা।