ইনসুলিন নেওয়ার জন্য আর ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন হবে না। কারণ ইঞ্জেকশনভীতি বা কষ্ট কমাতে বাজারে এসেছে ‘ওরাল স্প্রে’ ইনসুলিন। মুখের ভিতর স্প্রে করেই নেওয়া যাবে ইনসুলিনের ডোজ।
২০১৫ সালে ওরাল ইনসুলিন প্রথম তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাটের ম্যানকাইন্ড কর্পোরেশন। এর নাম ‘আফ্রেজা’। মুখে স্প্রে করার সঙ্গে সঙ্গে লালায় মিশে এটি পৌঁছায় ফুসফুস ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গে। তারপর রক্তে মিশে ধীরে ধীরে কাজ শুরু করে।
ওরাল ইনসুলিনের ডোজ নেওয়ার ১২ মিনিটের মধ্যে এটি কাজ শুরু করে। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রক্তে বাড়তি শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুবই কার্যকরী এই ওষুধ।
ওরাল ইনসুলিনের সুবিধা হলো এতে দিনে তিন থেকে চার বার সুচ ফুটিয়ে ইনসুলিন নিতে হবে না। এ ছাড়া ইনসুলিন ইঞ্জেকশন সংরক্ষণ করারও অনেক নিয়ম আছে। সেগুলি না মানলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি। কিন্তু ওরাল ইনসুলিনে তেমন কোনও সমস্যা নেই। বরং এটি সহজেই নেয়া যায়। পাশাপাশি দ্রুত কাজ করে।
উল্লেখ্য, ইনসুলিন ইঞ্জেকশন ত্বকের নীচেই নেওয়া হয়। সাধারণত নাভির দু’পাশ, উপরে ও নীচে ১ ইঞ্চির মতো জায়গা বাদ দিয়ে পেটের যে কোনো জায়গায় ইঞ্জেকশন নেওয়া যায়। এভাবে সুচ ফুটিয়ে ইনসুলিনের ডোজ় নেওয়ার ঝামেলা অনেক। যদি ঠিক মতো ইনসুলিন শরীরে না ঢোকে, তা হলে কিন্তু রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে আসবে না। এই অসুবিধাই দূর করতে পারবে ওরাল ইনসুলিন।
সূত্র: ইন্টেলিজেন্ট লিভিং