সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার দাবিতে কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত কর্মসূচি পালন করছেন চাকরি প্রার্থীরা। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সেই দাবি একাধিকবার নাকচ করে দেয়।
শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে সেই দাবি আবারো জোরাল হয়। এরই অংশ হিসেবে গত ৩০ সেপ্টেম্বর কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্দোলনকারীদের দাবি পর্যালোচনা করে সম্প্রতি প্রতিবেদন দিয়েছে ওই কমিটি।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশে পুরুষের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও নারীর ৩৭ বছর করার সুপারিশ এসেছে। সম্প্রতি এই সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। ১৪ অক্টোবর সচিবালয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পর্যালোচনা কমিটির প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “সরকারি চাকরির বয়সের ব্যাপারে আলোচনা করে এখন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। আজকে উপদেষ্টাদের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। নারীরা যাতে সুযোগ বেশী পায় সেজন্য বয়স ৩৭ দেওয়া হয়েছে, পার্শ্ববর্তী দেশেও তা আছে। আর সবার জন্য ৩৫ সুপারিশ করা হয়েছে।”
পর্যালোচনা কমিটির প্রধান বলেন, বয়সসীমা কোন গ্রেডের জন্য আলাদাভাবে বলা হয়নি, সার্বিকভাবে সব সরকারি চাকরির বিষয়ে বলা হয়েছে। অবসরের বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি। এখন যারা চাকরিতে ঢুকবে, তাদের অবসর নিতে অনেক সময় লাগবে- এ বিষয়ে পরে সরকার চিন্তা করবে।
যারা এখন চাকরিতে আছে, তারাই আগামী ৭/৮ বছরে অবসরে যাবেন। তারা আগের নিয়মেই অবসরে যাবেন। প্রশাসনের সংস্কারের বিষয়ে প্রথম বৈঠক ছিল। পরিচিতি পর্ব হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। দুই মাস পর একটা কাঠামোতে আসবে বলে মনে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর।