Home ফিচার ফলের রাজা আমের বাহারি নাম কীভাবে এলো?

ফলের রাজা আমের বাহারি নাম কীভাবে এলো?

৫১ views

আমকে ফলের রাজা বলা হয়ে থাকে। আবার অনেকে বলেন রাজাদের ফলও আম। এ নিয়ে বেশ কিছু গল্পও প্রচলিত আছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে বীরবল ও সম্রাট আকবরের একটি গল্প। সম্রাট আকবরের এক ভোজসভায় তার প্রিয় সভাসদ বীরবল পেট ভরে খাবার খেলেন। পরে সম্রাটকে বললেন তিনি এত খেয়েছেন যে পেটে আর বিন্দুমাত্র জায়গা নেই। তারপরেও খাবার পরিবেশনকারী একজন তার সামনে কয়েক টুকরা আম দিলেন। আর বীরবল সেগুলো অনেক তৃপ্তি নিয়ে খেলে সাবাড় করলেন।

বিষয়টি দেখে সম্রাট আকবর বীরবল মজার সুরে বললেন, তোমার নাকি পেটে জায়গা নেই? তো আমগুলো সাবাড় করলে কিভাবে!

উত্তরে বীরবল বললেন, ‘সম্রাট, আপনি রাস্তা দিয়ে যাওয়া সময় লোকজন যেমন সরে গিয়ে রাস্তা ফাঁকা করে দেয়, তেমনি আমও হচ্ছে ফলের রাজা। পেট ভরা থাকলেও তা পেটে গিয়ে জায়গা করে নিয়েছে।’

তখন থেকেই বলা হয়ে থাকে যে আম রাজাদের ফল।

Mango 2 1

গাছে পাতার মাঝে ঝুলে আছে আম

এই উপমহাদেশে আম নিয়ে অনেক গল্প-কিচ্ছা প্রচলিত আছে। ফলটি নিয়ে হয়েছে অনেক গবেষণা, এসেছে নতুন নতুন জাত। তবে আমের জন্মের সময়কাল নিয়ে বেশ একটা বিতর্ক আছে। ধারণা করা হয় প্রায় ৪ হাজার বছর আগে ভারতীয় উপমহাদেশ ও মিয়ানমারে আমের জন্ম। অনেকের মতে, ৬ হাজার বছর আগেও আমের উপস্থিতির প্রমাণ ছিল। প্রথমাবস্থায় আম ছিল বনের ফল। পরে মানুষ সামাজিক জীবনে অভ্যস্ত হওয়া শুরুর পর আম চাষের মাধ্যমে উৎপন্ন হতে থাকে।

বাংলাদেশে আমের সূচনা হয়েছে মূলত মুর্শিদাবাদের নবাবদের পৃষ্ঠপোষকতায়। সে আমলে মুর্শিদাবাদের লালবাগে ২৫০টিরও বেশি ভালো জাতের আমের গাছ লাগানো হয়। পরবর্তীতে সেসব বাগান থেকে উন্নত জাতের আমের চারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী মুর্শিদাবাদের পাশে হওয়ায় এই অঞ্চল গুলোতে তখন ব্যাপকভাবে আম চাষের প্রসার ঘটে।

আম চাষ ও গবেষণার ফল হিসেবে ফলটির অনেক জাত এসেছে। এসব জাতের নাম নিয়েও আছে অনেক বাহার। কিন্তু আমের নামে এত বাহার কিভাবে এলো?

আমের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে ম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা। দেশে-বিদেশে বহু জাতের আম পাওয়া যায়। বিভিন্ন জাতের আমের নাম যেমন বাহারি, তেমনি সেগুলোর নামকরণের পেছনেও আছে মজার মজার ইতিহাস। ফজলি, আম্রপালি, গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাত, মোহনভোগ, রাজভোগ, রানিভোগ, রানিপছন্দ, লক্ষ্মণভোগ, আশ্বিনা, হাড়িভাঙ্গা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, আলফানসো, তোতাপুরী, কারাবাউ, সূর্যপূরী, ছাতাপরা, গুঠলি, কুয়াপাহাড়ি, আদাইরা, চিনিমিছরি, শীতলপাটি, জগমোহিনী, রাখালভোগ, মেসোভোলানি, মোহনবাঁশি, পরানভোগ, বনখাসা, বাগানপল্লি, কোহিতুর, কালিগুলি, কালিগুটি, পাকচারা, বিড়া, ভারতী, আনোয়ারা, পলকপুরী, সিন্দুরা, সুবর্ণরেখা, কলাবতীসহ অন্তত দেড় হাজার জাতের আমের নাম শোনা যায় এই উপমহাদেশে।

গোপালের গোপালভোগ
বাংলাদেশে প্রচলিত ভালো জাতের আমের মধ্যে গোপালভোগ আমই প্রথমে পাওয়া যায়। সাধারণত মে মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু করে জুনের প্রথম দুই সপ্তাহ পর্যন্ত এই আম বাজারে থাকে। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোপালভোগ আমের জন্য বেশি পরিচিত। এই আমের গায়ে ছোট ছোট ছোপ ছোপ দাগ থাকে এবং এটি ওপরের দিকে গোল ও নীচের দিকে কিছুটা সরু হয়। পাকলে আমের গায়ে হালকা হলদে ভাব আসে। গোপালভোগ অনেক মিষ্টি, আশহীন, ঘ্রাণযুক্ত হয়। এর খোসা একটু মোটা হলেও আঁটি পাতলা।

বলা হয়, ইংরেজদের সময় পশ্চিমবঙ্গের মালদার নরহাট্টা এলাকায় এক চাষির নাম ছিল গোপাল। তার নামেই এই আমের নাম হয় গোপালভোগ। আবার অনেকের মতে, গোপলভোগ অর্থ হচ্ছে গোপালের ভোগ। মূলত, হিন্দু ধর্মালম্বীরা এই আমকে ভগবানের খাবার বা প্রিয় ফলের সঙ্গে তুলনা করে বলে এমন নাম এসেছে।

Gopalbhog

গোপালভোগ আম

চণ্ডীপুর লক্ষ্মণের লক্ষণভোগ
লক্ষণভোগ আমের গায়ে এক ধরনের নাক থাকে। এই আম পাকলে প্রায় পুরোটাই হলুদ বা কমলা রঙ ধারণ করে। তবে এই আম কম মিষ্টি। এ কারণে লক্ষণভোগকে অনেকে ডায়াবেটিস আমও বলেন। এই আমের খোসা কিছুটা মোটা হলেও আঁটি একদম পাতলা।

প্রচলিত আছে, লক্ষ্মণ নামে চণ্ডীপুরের এক বাসিন্দা এই আমের গাছ রোপণ করেছিলেন। সেই আমের স্বাদ ও গন্ধ এতই ভালো ছিল যে ওই চাষির নামেই তা লক্ষ্মণভোগ নাম পায়।

Lakhna

লক্ষণভোগ আম

রানীর প্রিয় রানীপছন্দ
রানীপছন্দ আমটি বৈশিষ্ট্য ও আকারের দিক থেকে অনেকটা গোপালভোগে মতো। দেখতেও কাছাকাছি, তবে এটি আকারে কিছুটা গোপালভোগের চেয়ে ছোট এবং গোলাকার। এই আমের খোসা পাতলা, কোনো আঁশ নেই এবং পাকলে অনেক মিষ্টি হয়।

অনেকে বলেন, এই আমটি কাশিম বাজারের রানীর প্রিয় তালিকায় ছিল। আর তারই পৃষ্ঠপোষকতায় এই আমের নাম হয়েছে ‘রানীপছন্দ’।

Rani

রানীপছন্দ আম

খিরে স্বাদে খিরসাপাত
খিরসাপাত আমের জন্যও রাজশাহী ও চাঁপাইগঞ্জে বেশি বিখ্যাত। মে মাসের শেষ থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এই আম বাজারে আসে। পুরো জুন মাসই এই আম বাজারে থাকে। সুমিষ্ট, সুগন্ধযুক্ত গোলগাল আকৃতির এই আমের গায়ে হালকা দাগ থাকে, আকারে কিছুটা বড় এবং পাকলে বোঁটার দিকে হালকা হলুদ রং ধরে।

অনেকে খিরসাপাত আমকে হিমসাগর হিসেবে বলেন। কিন্তু এই দুইটি আমই ভিন্ন জাতের। খিরসাপাত আর হিমসাগর একই রকম দেখতে। মূলত বাংলাদেশে হিমসাগর আমের গাছ নেই বললেই চলে। হিমসাগর হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের একটি বিখ্যাত আম আর এইি ভারতের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য।

ধারণা করা হয়, মুর্শিদাবাদের নবাবদের বাগান থেকে খিরসাপাত আমটি প্রথম পাওয়া যায়। আর তাদের মাধ্যমেই এই আমের নামকরণ হয়েছে। খিরের মতো মজার স্বাদ থেকে এই নামটি করা হয়েছে বলেও অনেকে বলেন।

Khirshapat

খিরসাপাত আম

বৃক্ষবিলাসীর হাড়ি থেকে হাড়িভাঙ্গা
বাংলাদেশের জনপ্রিয় আমের তালিকায় হাড়িভাঙ্গা হচ্ছে অন্যতম। রংপুর অঞ্চলে এই আমের চাষ বেশি হয়। জুনের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে হাড়িভাঙ্গা আম বাজারে পরিপক্ক হয়। সুমিষ্ট, আঁশহীন হাড়িভাঙ্গা আমের বোঁটার দিকের অংশ চওড়া আর নীচের দিক চিকন থাকে। এই আমটি শক্ত অবস্থায় খাওয়াই ভালো। কারণ, এটি বেশি পাকলে অনেক নরম হয়ে যায়।

প্রচলিত আছে, হাড়িভাঙ্গা আমের গোড়াপত্তন করেছিলেন নফল উদ্দিন পাইকার নামে এক বৃক্ষবিলাসী ব্যক্তি। তবে শুরুতে এই আমের নাম ছিল মালদিয়া। সেই আমের গাছ লাগিয়ে তার গোড়ায় মাটির হাঁড়ি দিয়ে ফিল্টার বানিয়ে পানি দিতেন নফল। এক রাতে কেউ সেই মাটির হাঁড়িটি ভেঙে ফেলে। আর সেইবারই ওই গাছে বিপুল পরিমাণ আম ধরে আর সেগুলো ছিল খুবই সুস্বাদু। আমগুলো বিক্রি করতে বাজারে নেওয়ার সময় লোকজন নফল উদ্দিনের কাছে ওই আম সম্পর্কে জানতে চায়। তখন তিনি মানুষকে বলেন, ‘যেই গাছের নিচের হাড়িটা মানুষ ভাঙে ফেলেছিল, সেই গাছেরই আম এগুলো।’ সেই থেকেই এই আমের নাম ‘হাড়িভাঙ্গা’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

HariVanga

হাড়িভাঙ্গা আম

ল্যাংড়া ফকিরের ল্যাংড়া
ল্যাংড়া আম পছন্দ না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই কঠিন। ২০২৫ এর আম ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১০ জুন থেকে এই আম সংগ্রহ শুরু হবে। পুরো জুনই এই আম বাজারে থাকে। অন্য আমের চেয়ে এই আম চেনা বেশ সহজ। এই আমের অনন্য সুগন্ধ ও এক ধরনের ঝাঁঝের কারণে এটি আলাদা। দেখতে গোলাকার, একদম পাতলা ও মসৃণ খোসা, চিকন বোঁটা আর পাতলা আঁটি হয় এই আমে। এটি পাকলে অনেকটা সবুজাভ হলুদ রঙ ধারণ করে। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ অঞ্চলে এই আম বেশি হয়।

কথিত আছে, বেনারসের এক ল্যাংড়া ফকিরের নামে এই আমের নামকরণ হয়েছে। এ জন্য ভারতে এই আমকে ‘বানারসী আম’ বলে ডাকা হয়। মূলত, বেনারসে এক ল্যাংড়া বৃদ্ধ প্রথম এই আমগাছ লাগিয়ে অপূর্ব ঘ্রাণের আম ফলান। সেই থেকে আমটির নাম হয় ল্যাংড়া আম।

Langra

ল্যাংড়া আম

নর্তকীর শ্রেষ্ঠত্বে আম্রপালি
আম্রপালি হচ্ছে একটি হাইব্রিড আম আর এর মিষ্টতা অন্য আমের চেয়ে অনেক বেশি। সাধারণত জুন মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহের দিকে আম্রপালি বাজারে আসে। বাংলাদেশের নওগাঁতে এই আম সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। এই আমের নীচের দিক একটু চিকন এবং ওপরের দিক কিছুটা গোল হয়। আর এর খোসা মসৃণ বা তেলতেলে হয়।

প্রচলিত আছে, প্রাচীন ভারতে এক খ্যাতনামা ও শ্রেষ্ঠ নর্তকী ছিলেন আম্রপালি। ওই নর্তকীর মতো এই আমেরও এক শ্রেষ্ঠত্ব আছে বলে আমটির নাম রাখা হয়েছে আম্রপালি।

Aamropali

আম্রপালি আম

ফজল বাইজির ফজলি
আকারের দিক থেকে বড় হওয়ায় ফজলি আম অনেক পরিচিত। বড় হওয়ার পাশাপাশি এটি আকারে লম্বা ও পাকলে হলুদ রঙ ধারণ করে। এই আমটি মৌসুমের শেষের দিকে পাওয়া যায় যখন অন্য আম খুব একটা থাকে না। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে এটি বাজারে আসে। ল্যাংড়া বা গোপালভোগের মতো খুব বেশি মিষ্টি না হলেও এই আম একেকটি ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের হতে পারে। তবে ফজলি আমে আঁশ বেশি হয়।

বলা হয়ে থাকে, মোগল বাদশাহর দরবারে ফজল বিবি নামে এক বাইজি ছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে বাদশাহ তার আমবাগানের এক কোণে ফজল বিবিকে একটি চালা তৈরি করে থাকতে দিয়েছিলেন। ফজল বিবির ঘর ছিল এক আমগাছের নিচে। তিনি মারা যাওয়ার পর মানুষ তার ঘরের ওপরে থাকা ওই বড় বড় আমের নাম দিয়েছিল ফজলি আম। সেই থেকেই এই আমের নাম হয়েছে ফজলি আম। তবে সময়ের বিবর্তনে তখনকার আমের সঙ্গে এখনের এই ফজলির আকার ও স্বাদে বেশ বৈচিত্র্য এসেছে। আর এ জন্যই এখন ফজলি আমেরও অনেক উপজাত হয়েছে। যেমন: সুরমা ফজলি, নাক ফজলি, কালি ফজলি, মালদা ফজলি ইত্যাদি।

Fojli

ফজলি আম

গৌড়ের রত্ন গৌড়মতি
গৌড়মতি আম অতো পরিচিত না হলেও খিরসাপাত বা গোপালভোগের চেয়ে এটি প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি মিষ্টি। আর এই আমের ভক্ষণযোগ্য অংশ প্রায় ৯৩ ভাগ। আমটি পাকলে হলুদাভাব ও সিঁদুরে রঙের মিশ্রণে অসাধারণ দেখায়। এই আমের খোসা ও আঁটি দুটোই পাতলা এবং আঁটি ছোট। ল্যাংড়া ও আশ্বিনার প্রাকৃতিক পরাগায়নের ফলে এই আমের নতুন এ জাতটি উদ্ভাবন হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় গৌড়মতি আমের নামকরণ করেছেন কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হক। আমটির প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে। বাংলার প্রাচীন এই জনপদের ‘গৌড়’ থেকে ‘গৌড়’ আর মূল্য বিবেচনায় রত্নের সঙ্গে তুলনা করে ‘মতি’ শব্দের সমন্বয়ে ২০১৩ সালে এই আমটির নামকরণ করা হয়েছিল ‘গৌড়মতি’।

Gouromoti

গৌড়মতি আম

দেশের কৃষির অনন্য উদ্ভাবন বারি-৪ আম
বাংলাদেশের কৃষি গবেষকদের অনন্য এক উদ্ভাবন হচ্ছে বারি-৪ আম। বিদেশি একটি আমের সঙ্গে আশ্বিনা আমের সংকরায়নে এই জাতটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। সাধারণত জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এই আম বাজারে আসে। এই আম পাকণে রঙ হলুদ বা সোনালি হয়। আঁশহীন এই আম খেতে খুব একটা মিষ্টি না হলেও আঁটি ছোট ও পাতলা হয়। তবে এই আম কাঁচা মিঠা স্বাদের হওয়ায় এটি অনেকের প্রিয়।

Bari 4

বারি-৪ আম

আশ্বিন মাসের আশ্বিনা
আশ্বিনা হচ্ছে মৌসুমের শেষ আম। জুলাইয়ের ১০ তারিখ থেকে সংগ্রহ শুরু হয়ে অগাস্ট পর্যন্ত আশ্বিনা আম বাজারে পাওয়া যায়। এই আম আকারে অনেকটা বড়, দেখতে একটু বেশি সবুজ বা কালচে হয় আর পেটের দিকে একটু মোটা থাকে। খোসা মোটা এই আমের স্বাদ কিছুটা টক-মিষ্টি হয়।

মূলত বাংলা আশ্বিন মাসে এই আম বেশি পাওয়া যায় জন্য এর নামকরন হয়েছে আশ্বিনা।

Aswina

আশ্বিনা আম

এসব পরিচিত নামের বাইরেও আরও অনেক জাতের আম আছে। সেসব জাতের নাম নিয়েও আছে অনেক প্রচলিত গল্প। যেমন নবাবি আমলে উড়িষ্যায় লালবাগে একটি বাগানের এক উদ্যানরক্ষক উত্কৃষ্ট মানের আমের নতুন জাত তৈরি করেছিলেন। এর জন্য নবাব আলীবর্দী খাঁ তাকে পুরস্কৃতও করেছিলেন। আর সেই উদ্যানরক্ষক তার উদ্ভাবিত জাতের নাম রেখেছিলেন ‘বিমলা’। এই নামটি ছিল তার স্ত্রীর নামে।

বাংলাদেশে আমের মৌসুমকে বলা হয় মধুমাস। এই সময়টায় আম ছাড়াও কাঠাল, লিচু, জাম, তরমুজ, জামরুল, আনারসসহ অনেক রসাল ফলের সমারহ থাকে। তবে এতসব ফলের ভেতর আম হয়ে ওঠে মধ্যমনি। এটি হয়তো বিরবলের ওই গল্পেরই প্রমান দেয়, ফলের রাজা আম আর রাজাদের ফলও আম।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ