প্রায় তিন দশক পর ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজে ফিরেছেন হলিউড অভিনেতা রল্ফ স্যাক্সন। ১৯৯৬ সালের প্রথম সিনেমাটিতে উইলিয়াম ডনলো চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এবারও ‘মিশন: ইম্পসিবল–দ্য ফাইনাল রেকনিং’ সিনেমায় একই চরিত্রে দেখা যায় তাকে।
প্রথম সিনেমায় স্যাক্সনের চরিত্রটি ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত, যেখানে টম ক্রুজের চরিত্র ইথান হান্ট সিআইএ সদর দফতরে প্রবেশ করে বিশ্বজুড়ে আন্ডার কভার এজেন্টদের একটি তালিকা চুরি করতে যায়।
নতুন সিনেমায় টম ক্রুজ ও পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি স্যাক্সনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের জন্য ফিরিয়ে এনেছেন।
হলিউড অভিনেতা রল্ফ স্যাক্সন, ছবি: নিউ ইয়র্ক টাইমস
এই বিষয়ে রল্ফ স্যাক্সন জানান, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তার কাছে একটি ফোন আসে, যেখানে একটি ইউরোপীয় ফিল্ম কোম্পানি তাকে একটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য আগ্রহী বলে জানায়।
প্রথমে তিনি বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি, তবে পরে জানতে পারেন সেটি ছিল স্কাইডান্স, টম ক্রুজ ও ‘মিশন: ইম্পসিবল’-এর সঙ্গে জড়িত একটি প্রস্তাব।
ভিডিও কলে মিটিংয়ের সময় যখন তিনি জানতে পারেন, টম ক্রুজ ও ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি সত্যিই তাকে নতুন সিনেমায় অভিনয়ের জন্য চান, তখন তিনি বেশ অবাক হয়েছিলেন।
‘মিশন: ইম্পসিবল – দ্য ফাইনাল রেকনিং-এ হেইলি অ্যাটওয়েল ও টম ক্রুজ, ছবি: পিপল ডটকম
নতুন সিনেমায় ইথান হান্টের দল – যাদের মধ্যে হেইলি অ্যাটওয়েল, সাইমন পেগ, পম ক্লেমেনটিয়েফ ও গ্রেগ টারজান ডেভিস-এর মতো অভিনেতারা রয়েছেন। তারা বেরিং সাগরের সেন্ট ম্যাথিউ দ্বীপে যায়, যেখানে তারা স্যাক্সনের চরিত্র ডনলোর সঙ্গে মিলিত হয়।
উদ্দেশ্য ছিল একটি ডুবোজাহাজের সন্ধান করা। আগের সিনেমায় ইথান হান্টের অভিযানের পর ডনলোকে সিআইএ নির্বাসিত করে এই দ্বীপে পাঠিয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে স্যাক্সন জানান, ‘টম ক্রুজের সঙ্গে কাজ করাটা দারুণ ছিল। তিনি সব সময়ই শতভাগ নিবেদিত হন। এবারও তার কোনও কমতি হবে না।’
‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের আগের সিনেমাগুলোতেও পুরনো অভিনেতাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
৩০ বছর পর মিশন ইম্পসিবলে ফিরেছেন রল্ফ স্যাক্সন, ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস
হেনরি জারনি, যিনি মূল সিনেমায় ইম্পসিবল মিশন ফোর্সের পরিচালক কিট্রিজের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তিনিও ২০২৩ সালের ‘ডেড রেকনিং’ ছবিতে ফিরে এসেছেন।
টম ক্রুজ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি সব সময়ই পুরনো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে চান, কারণ তাদের সঙ্গে তার দারুণ অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় গল্পের দিকে মনোযোগ দিই। গল্পই আসল।’
২৩ মে মুক্তি পাওয়া মিশন: ইম্পসিবল – দ্য ফাইনাল রেকনিং সিনেমাটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পেক্ষাগৃহে চলছে। ৭০ বছর বয়সী এই অভিনেতার প্রত্যাবর্তন সিনেমার দর্শকদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ।
তথ্য সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
