ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে একটি নোট লিখেছেন হলিউড সুপার স্টার জেনিফার লোপেজ। সোশ্যাল মিডিয়ায প্লাটফর্ম ইনস্টাগ্রামের নতুন একটি পোস্টে ভালোবাসা ও সমর্থন দেয়ায় ধন্যবাদ জানান ৫৫ বছর বয়সী এই গায়িকা-অভিনেত্রী।
২৩ জানুয়ারি আমেরিকার মর্যাদাপূর্ণ সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে চতুর্থ দিন ২৬ জানুয়ারি প্রিমিয়ার হয় জেনিফার লোপেজ অভিনীত ‘কিস অব দ্য স্পাইডার ওম্যান’ সিনেমাটি। বিল কনডন পরিচালিত এই সিনেমার প্রদর্শনী শেষে দর্শকের তুমুল করতালিতে ফেটে পড়ে থিয়েটার হল।
লোপেজ লিখেন, “সেই রাতের অনেক পর্যালোচনার মধ্যে আমিও ছিলাম। বিষয়টি আমার হৃদয় পরিপূর্ণ করেছে। আপনাদের উত্তেজনা দেখা আমার কাছে পুরো বিশ্ব দেখার সমান। আমি আপনাদের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ। আমি সারা জীবন এই মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আপনার সমর্থন আমাকে পথের প্রতিটি পদক্ষেপে অনুপ্রাণিত করে।

কিস অব দ্য স্পাইডার ওম্যান সিনেমার একটি দৃশ্য, ছবি: ইন্ডিওয়্যার
সঙ্গীতের গুরুত্ব সম্পর্কে লোপেজ বলেন, আমি এই ব্যবসায়ে থাকতে চেয়েছিলাম কারণ আমার মা আমাকে টিভির সামনে বসাতেন… আমরা বছরে একবার থ্যাঙ্কসগিভিং-এ ওয়েস্ট সাইড স্টোরিতে আসতাম। আমার মনে আছে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। তখন আমি ভাবছিলাম, ‘আমি এটাই করতে চাই।’
এর আগে ২৬ জানুয়ারি সিনেমাটির প্রিমিয়ারে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন জেনিফার লোপেজ। কিস অব দ্য স্পাইডার ওম্যান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটি ভিন্ন দুটি মানুষের পরিচয় হওয়া, যারা একে অপরের মধ্যে মানবতা খুঁজে পায় ও প্রেমে পড়ে। আমার কাছে, এটি এমন বিশেষ কিছু, যা দেখা দরকার। আমরা সবাই কেবল মানুষ। এই দৃষ্টিকোণ থেকে তা গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা। লোপেজের মতে, ভালোবাসা সব বিভাজনে উপশম ঘটায়, সিনেমাটি তারই অনুস্মারক হিসেবে কাজ করে। ’
জেনিফার লোপেজের সঙ্গে এই সিনেনায় জুটি বেঁধেছেন দিয়েগো লুনা। এতে নির্মাতা আশির দশকে আর্জেন্টিনার স্বৈরশাসনের সময়ে অপ্রত্যাশিতভাবে দুটি ভিন্ন মানুষের দেখা হওয়া এবং তাদের মাঝে অটুট বন্ধুত্ব তৈরি হওয়ার গল্পকে তুলে ধরেছেন।
তথ্যসূত্র: ডেইলি বিস্ট, জিও নিউজ ও ভ্যারাইটি