Home স্থাপত্য ও প্রকৌশল স্থাপত্যের নোবেল জিতলেন চীনের লিউ জিয়াকুন

স্থাপত্যের নোবেল জিতলেন চীনের লিউ জিয়াকুন

চঞ্চল ঘোষ
৯১ views

এ বছর স্থাপত্য জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রিটজকার আর্কিটেকচার প্রাইজ জিতেছেন চীনের বিখ্যাত স্থপতি ও শিক্ষাবিদ লিউ জিয়াকুন। স্থাপত্য ক্ষেত্রে অবদান রাখায় তাকে ২০২৫ সালে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন বিচারকরা। আধুনিক নকশার সঙ্গে চীনের ঐতিহ্যের উপাদানগুলোর সংযোগ ও স্থাপনা নির্মাণে সামাজিক সাম্যের সংমিশ্রণ ঘটানোর মাধ্যমে নিজের সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছেন জিয়াকুন, যা তাকে এনে দিয়েছে স্থাপত্যে নোবেল খ্যাত বিশ্ব সেরা অ্যাওয়ার্ড।

স্থপতি জিয়াকুন

চীনের বহু নান্দনিক বিল্ডিংয়ের নকশা করেছেন স্থপতি লিউ জিয়াকুন, ছবি: আর্ক ডেইলি

এই অনন্য সম্মানে ভূষিত হওয়ার মাধ্যমে তিনি নাম লেখালেন বিখ্যাত স্থপতি রাকেন ইয়ামাতো (২০২৪), স্যার ডেভিড চিপারফিল্ড (২০২৩) এবং ফ্রান্সিস কেরের (২০২২) সঙ্গে। দ্বিতীয় চাইনিজ হিসেবে স্থাপত্যের নোবেল পেলেন জিয়াকুন। এর আগে ২০১২ সালে এই সম্মানে ভূষিত হন তার স্বদেশী ওয়াং শু।

clock

জিয়াকুনের নকশায় নির্মিত চীনের বিখ্যাত ক্লক মিউজিয়াম, ছবি: আর্ক ডেইলি

১৯৫৬ সালে চীনের চেংডুতে জন্ম নেন এই গুণী স্থপতি। দেশটির চোংকিং ইউনিভার্সিটি থেকে স্থাপত্যের ওপর লেখাপড়া শেষ করেন তিনি। আর ১৯৯৯ নিজের নামে প্রতিষ্ঠা করেন জিয়াকুন আর্কিটেক্ট। চলতি বছরের মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন বিচারকরা।

জিয়াকুন

চার দশক ধরে স্থাপত্য নিয়ে কাজ করছেন লিউ জিয়াকুন, ছবি: আর্ক ডেইলি

চার দশক ধরে স্থাপত্য নিয়ে কাজ করা জিয়াকুন নকশা করেছেন চীনের বহু নান্দনিক বিল্ডিংয়ের। এরই মধ্যে রয়েছে ক্লক মিউজিয়াম (জিয়ানচুয়ান মিউজিয়াম সেটেলমেন্ট), দ্য ক্যালচারাল কমিউনিকেশন সেন্টার অব দ্য থ্রি টেম্পলস অব সংইং এবং দ্য ফার্স্ট সারপেন্টিন প্যাভিলন আউটসাইডি লন্ডন বিল্ডিং (এটির অবস্থান বেইজিংয়ের নিষিদ্ধ শহরের কাছে)।

temple

দ্য ক্যালচারাল কমিউনিকেশন সেন্টার অব দ্য থ্রি টেম্পলস অব সংইং বিল্ডিং, ছবি: আর্ক ডেইলি

এর আগে স্থাপত্যে অবদান রাখায় তিনি আরও একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো-দ্য ফার ইস্ট আর্কিটেক্টার অ্যাওয়ার্ড ও দ্য উইনেস্কো এশিয়া-প্যাসিফিক হেরিটেজ অ্যাওয়ার্ড। বর্তমানে তিনি চীনের সেন্ট্রাল একাডেমি অব ফাইন আর্টসে ভিসির্টিং অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জিকুয়ান

নান্দনিক এই স্থাপনাটির নকশা করেছেন স্থপতি লিউ জিকুয়ান, ছবি: আর্ক ডেইলি

এ ছাড়াও এমআইটি ও রয়্যাল কলেজ অব আর্টে লেকাচারার হিসেবেও যুক্ত রয়েছেন তিনি। শুধু স্থপতি হিসেবেই সুনাম  ‍কুড়াননি তিনি। এ সংক্রান্ত বই লিখে লেখক হিসেবেও নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন ৬৯ বছর বয়সী জিয়াকুন। তার লেখা বইগুলোর মধ্যে ‘দ্য কন্সেপশন অব ব্রাইটমুন’, ‘ন্যারেটিব ডিসকোর্স এন্ড লো-টেক স্ট্রাটেজি’, ‘নাউ এন্ড হেয়ার’, ‘আই বিল্ট ইন ওয়েস্ট চায়না’ অন্যতম।

সূত্র: আর্ক ডেইলি  

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ