ঢাকার কড়াইলের মানুষদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ‘মাচান’। এটি কেবল বিনোদনের স্থান নয়, বরং দক্ষতা উন্নয়ন এবং সংস্কৃতির বিনিময়েরও একটি কেন্দ্র। ‘মাচান’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে ৬, ৭, ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর চার দিনব্যাপী ‘মজা করি’ উৎসব আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রায় ৫০ জন শিল্পী ও ৪০টি শিল্পকর্ম নিয়ে শুরু হয়েছে ‘মজা করি’ ডিজাইন ফেস্টিভ্যাল। এই আয়োজনে আরও থাকবে ১৫টি কর্মশালা ও ১০টি আলোচনা অনুষ্ঠান।
উৎসবের প্রথম দিন ‘কড়াইলে ইয়ুথ ভলেন্টিয়ার’ ও ‘মাচান’-এর স্টিয়ারিং কমিটি কড়াইলের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখে। তারা গত তিন বছরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। পাশপাশি তারা কড়াইলবাসীদের প্রতি আহ্ববান জানান, যেন সবাই মিলে এই সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে ঘিরে একটি সুন্দর পরিবেশ ধরে রাখতে সক্ষম হয়। সবশেষে বক্তব্য রাখেন জার্মান কালচারাল সেন্টারের পরিচালক ফ্র্যাঙ্ক ভার্নার।

প্রায় ৫০জন শিল্পী ও ৪০টি শিল্পকর্ম নিয়ে শুরু হয়েছে ‘মজা করি’ ডিজাইন ফেস্টিভ্যাল। ছবি: পাড়া
ফেস্টিভ্যালে ডিজাইন বিষয়ক আলোচনায় অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্বজিৎ গোস্বামী ও ফারজানা ইউসুফ। মিউজিশিয়ান জ্যাঙ্কি’র পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় দ্বিতীয় দিনের আসর।
আসছে ১৩ ও ১৪ তারিখ আবার জমবে এই আসর কড়াইলের নানা স্থানে। সেখানে শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, কর্মশালা, আলোচনার পাশাপাশি থাকছে ঘাসফড়িং কয়্যার, স্বয়ম্ভু, বেতাল প্রাচ্যনাট ও তুলকালামের পরিবেশনা।