২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেনের শর্তে শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য করপোরেট করহারে কিছুটা বদল আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।অন্য কোম্পানিগুলোর করহারের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এর অর্থ অন্য করপোরেট করহার আগের মতই থাকবে। তবে বিনিয়োগকারীদের হতাশই করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। কারণ, সরাসরি বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবেন—এমন কোনো প্রণোদনা নেই ঘোষিত বাজেটে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “দেশি-বিদেশি লাভজনক ও নামীদামি কোম্পানিসমূহকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে লিস্টেড এবং নন-লিস্টেড কোম্পানির করহারের ব্যবধান ৫ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।”
প্রস্তাব অনুযায়ী, সকল প্রকার আয় এবং নির্দিষ্ট অংকের ব্যয় ও বিনিয়োগের অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেনের শর্তে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য করহার চলতি অর্থবছরের মতোই আগামী অর্থবছরেও থাকছে; অর্থ্যাৎ চলতি অর্থবছরে যে আয় হয়েছে তার ওপর করহার একই থাকবে।
তবে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেনে আড়াই শতাংশ ছাড়ের শর্ত তুলে নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে অনেক কোম্পানি যে আড়াই শতাংশ ছাড় পেত সেগুলো এখন সে সুবিধা পাবে না।
অপরদিকে আসছে অর্থবছর থেকে যে আয় হবে তার ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, শুধু সব আয় ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারলে আসছে অর্থবছরের আয়ের ওপর তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার হবে ২০ শতাংশ; এ শর্ত পরিপালন করতে না পারলে কর দিতে হবে সাড়ে ২২ শতাংশ।
বর্তমানে সব ধরনের আয় এবং নির্দিষ্ট অংকের ব্যয় ও বিনিয়োগের অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারলে এমন কোম্পানি ২০ শতাংশ করপোরেট দিতে পারে; অন্যথায় তাদের জন্য করহার হয় সাড়ে ২২ শতাংশ।