কুড়িগ্রামের আলোচিত ‘রিকতা আক্তার বানু- (লুৎফা) বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়’-এর পাশে দাঁড়িয়েছে ডেটল। জেলার চিলমারী উপজেলার রমনা সরকার পাড়ায় ২০০৯ সালে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য এই ব্যতিক্রমী স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । এটির প্রতিষ্ঠাতা চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স রিকতা আক্তার বানু।
রিকতার মেয়ে অটিজম ও সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। মেয়েকে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাকে ফিরিয়ে দেয়। এতে হাল ছাড়েননি রিকতা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের কথা ভেবে ব্যক্তি উদ্যোগে এই স্কুলটি চালু করেন।
রিকতার এমন মহৎ উদ্যোগকে সম্মান জানিয়ে এক বছরের জন্য স্কুলটিতে ফ্রি জীবাণুনাশক ও হাইজিন পণ্য সরবরাহ করছে ডেটল। পাশাপাশি দিয়েছে ৫০ হাজার টাকা নগদ অনুদান। রিকতার অনুপ্রেরণামূলক গল্প নিয়ে একটি ওভিসি ডেটল বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে ৮ মে। ভিডিওটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৮ মিলিয়ন ভিউ, ৩০৮৮টি শেয়ার এবং ৮৯০টি মন্তব্য এসেছে।
ডেটল এর ব্র্যান্ড ম্যানেজার মোঃ আমিন-উল-বশির আলভী বলেন, ‘ডেটল বিশ্বাস করে প্রতিটি শিশুর একটি পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ পরিবেশে বড় হওয়া ও শেখার অধিকার আছে। আর সেটা তাদের শারীরিক বা মানসিক সক্ষমতা যেমনই হোক। রিকতা আক্তার বানুর হার না মানা সংকল্প ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতি সহানুভূতি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।’
ডেটল এর সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ডেটল বাংলাদেশে সফলতার সাথে ৭৫ বছর অতিক্রম করেছে। রিকতা আক্তার বানুর এই উদ্যোগের পাশে থাকা মানে আমাদের শিশু, সমাজ ও ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করার অভিন্ন লক্ষ্যকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া।’
রিকতার এই অনন্য প্রচেষ্টার স্বীকৃতি এসেছে আন্তর্জাতিকভাবে। প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে এমন উদ্যোগের জন্যে ২০২৪ সালে বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি বিভাগে বিবিসির ১০০ জন প্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর তালিকায় জায়গা করে নেন তিনি।