Home বাণিজ্য এলসি ছাড়া চুক্তিপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা যাবে

এলসি ছাড়া চুক্তিপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা যাবে

ইকবাল হোসেন
১৪০ views
পণ্য রপ্তানি

এলসি (ঋণপত্র) ছাড়া চুক্তিপত্রের মাধ্যমে শিল্প প্রতিষ্ঠানের আমদানির সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী এলসি ছাড়া চুক্তিপত্রের আওতায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের আমদানির সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। বছরে ৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য এলসি ছাড়া বাণিজ্যিক আমদানি করা যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চুক্তির আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্টিং পোর্টালে দিতে হবে। 

এছাড়া বিদেশি সরবরাহকারীর ক্রেডিট রিপোর্ট গ্রহণ বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দে‌ওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

নির্দিষ্ট সময়ে মূল্য পরিশোধ করা না হলে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের পক্ষে চুক্তির মাধ্যমে আমদানি কার্যক্রম না কর‌তে বলা হয়েছে। সার্কুলারে নির্দেশনা বিশেষায়িত অঞ্চলে (ইপিজেড ও ইজেড) চুক্তির মাধ্যমে আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এছাড়া স্বাভাবিক নিয়মে আমদানির জন্য স্বল্প মেয়াদি আমদানি ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে।

চুক্তির আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারক নিজেই স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণ নিতে পারবে আমদানি দায় পরিশোধ করার জন্য। তবে বিদেশি ঋণদাতা সরবরাহকারীকে এলসি বা এসবিএলসি কিংবা গ্যারান্টি দিতে পারবে। আমদানির জন্য গৃহীত বিদেশি ঋণ এবং সুদ ঋণের শর্ত অনুযায়ী পরিশোধ করতে পারবে।

আমদানির জন্য স্বল্প মেয়াদি আমদানি ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের পক্ষ থেকে কর্পোরেট, ব্যক্তিগত বা তৃতীয় পক্ষ গ্যারান্টি প্রদানের সাধারণ অনুমোদন সুযোগ  দেওয়া হয়েছে। চুক্তির আওতায় বাণিজ্যিক আমদানি ৬০ দিনের স্বল্প মেয়াদি বৈদেশিক ঋণের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, আমদানির বিষয়ে নির্দেশনা বৈদেশিক বাণিজ্যে নতুন দ্বার উন্মোচন করা হলো বলে মনে কর‌ছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, এ সু‌বিধার মাধ্যমে থার্ড কান্ট্রি ইমপোর্ট কিংবা থার্ড কান্ট্রি এলসি বিষয়ে অস্পষ্টতা দূর হলো। বিদেশি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সুসম্পর্কের ভিত্তিতে ঘোষিত পদ্ধতি অনুসরণ করে এলসি ছাড়া আমদানি করা যাবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, এলসি ছাড়া আমদানির সুযোগ আমদানিনীতি আদেশে থাকলেও সুস্পষ্ট পদ্ধতির অভাবে উক্ত কার্যক্রম করতে সমস্যা দেখা দেয়। নতুন সার্কুলারে করণীয় বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা উল্লেখ করার ফলে কোনো সমস্যা ছাড়াই ব্যাংক আমদানিকারককে প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে পারবে।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ