দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। ফলে কমেছে মূল্যসূচক। এর মাধ্যমে শেষ ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইতে ১২ কার্যদিবস দরপতন হলো।
দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলে ডিএসইতে ১৫৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৫টির। আর ৬২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সার্বিকভাবে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ২২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮২২ পয়েন্টে নেমে গেছে।
প্রধান মূল্যসূচক কমলেও এদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩২৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৯১ কোটি ৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৩৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে সিটি ব্যাংকের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৭৬ টাকার। ৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি। লেনদেনে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আরো রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, লাভেলো আইসক্রিম, উত্তরা ব্যাংক, মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স এবং শাহজিবাজার পাওয়ার।