Home বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট

আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক
৯৫ views

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক।

তারা হলেন- মো. আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম ও মো. হাসিবুল ইসলাম।

এ বিষয়ে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানানো হয়েছে রিটে।

এর বাইরে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে অপর একটি রিটও করেছেন তারা। রিটের ওপর আগামীকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে শুনানি হতে পারে।

১১টি দলের বিষয়ে করা রিটে আওয়ামী লীগ ও এরশাদের জাতীয় পার্টি ছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরীকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, এলডিপি, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), গণতন্ত্রী দল, মার্ক্সিস্ট-লেলিনিস্ট (বড়ুয়া) ও সোসিওলিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।

১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে দলগুলোকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।

গত ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার আলটিমেটাম দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এবার হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম তিন সমন্বয়ক।

২৮ অক্টোবর (সোমবার) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করা হয়। রিটকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আগামীকাল মঙ্গলবার বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।’

গত আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ও এর সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার কিছু দিন পর সেই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ