চারুকলা অনুষদের সামনে আনন্দ শোভাযাত্রার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নির্মিত প্রতিকৃতি ও মোটিফে আগুন লাগার ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দুর্বৃত্তদের শনাক্তের কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দীন আহমদ এক বিবৃতিতে জানান, আনন্দ শোভাযাত্রা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। তবে যেসব প্রতিকৃতি ও মোটিফ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো ৪০ ঘণ্টার মধ্যে পুনর্নির্মাণ করা সম্ভব কিনা, তা নির্ধারণ করবেন চারুকলার শিল্পীরা।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি দাবি উঠেছে যে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররাই এই আগুন লাগানোর পেছনে জড়িত থাকতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ঘটনার পরপরই শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল ঘিরে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে চারুকলা অনুষদ প্রতিবছরের মতো এবারও রঙিন প্রতিকৃতি ও মোটিফ তৈরি করছিল। কিন্তু প্রস্তুতির ঠিক আগমুহূর্তে আগুনে পুড়ে গেছে প্রতীকী দুটি শিল্পকর্ম ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’। এসব মোটিফ নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার অংশ হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছিল।